বিদায়: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলিতে দলকে জেতালেন লুকাস পোডলস্কি। ম্যাচ শেষে সতীর্থরা শূন্যে তুলে নাচালেন বিদায়ী ম্যাচের নায়ককে। ছবি: এএফপি।
এ যেন রূপকথার বিদায়।
দেশের হয়ে শেষ ম্যাচে তাঁর হাতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড। সিগন্যাল ইদুনা পার্কের গ্যালারিতে প্রতিটা জার্মান সমর্থকের মুখে তাঁর নাম। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্বপ্নের গোলটাও তো তাঁর বা পা থেকেই এলো। জার্মানির হয়ে শেষ ম্যাচেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি। তিনি— লুকাস পোডলস্কি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের বিদায়ী ম্যাচেও যাঁর স্বপ্নের গোলে ১-০ জয় পেল জার্মানি।
ইংল্যান্ড ও জার্মানির ম্যাচ ফ্রেন্ডলি হওয়ায় ঝুঁকি নেননি দুই কোচ। বেশিরভাগ তরুণদের নিয়েই দল গড়েন গ্যারেথ সাউথগেট ও জোয়াকিম লো। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন পোডলস্কি। যাঁর দূরপাল্লার শট গিয়ে জড়ায় জালে। ম্যাচ শেষে পোডলস্কি বলছেন, এ যেন কোনও ফিল্মের স্ক্রিপ্ট। ‘‘বিদায়ী ম্যাচে আমি গোল করে জেতালাম জার্মানিকে। ঈশ্বর আমাকে খুব ভাল একটা বাঁ পা দিয়েছে। সেটাই ব্যবহার করলাম আজ। তেরো বছর নিজের দেশের হয়ে খেলতে পেরে গর্ববোধ করছি,’’ বলছেন পোডলস্কি।
পোডলস্কির গোলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন লো থেকে সাউথগেট। লো যেমন বলছেন, ‘‘পোডলস্কি এ রকম গোল করেই অভ্যস্ত। ওর মতো একটা স্পেশ্যাল ফুটবলার যোগ্য ভাবেই বিদায় জানিয়েছে জার্মানিকে।’’ পোডলস্কির গোলে ইংল্যান্ড হারলেও সাউথগেট বলছেন, ‘‘জো হার্টের কিছু করার ছিল না। সাধারণত ফুটবলে রূপকথা দেখা যায় না। কিন্তু পোডলস্কির জন্য রাতটা রূপকথার ছিল।’’ ম্যাচ নিয়ে লো বলছেন, ‘‘প্রথমার্ধে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। কিন্তু বিরতির পর আরও উন্নতি করে দল। আরও বেশি সুযোগ তৈরি করি আমরা।’’ জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুজ আবার বলছেন, ‘‘ম্যাচে ও রকম পরিস্থিতিতে পোডলস্কির গোল। ভাবাই যায় না।’’
ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে আবার জার্মান ফুটবল ফেডারেশন থেকে সম্মান জানানো হয় পোডলস্কিকে। সিগন্যাল ইদুনা পার্কের জায়ান্ট স্ক্রিনে পোডলস্কিকে নিয়ে তৈরি বিশেষ ভিডিও দেখানো হয়।