—ফাইল চিত্র।
কিংবদন্তি কোচ ও ফুটবলার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসায় সামান্য সাড়া দিলেও এখনও বিপন্মুক্ত নন। তিরাশি বছর বয়সি পিকে এখনও ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছেন না। তাঁর ফুসফুসে কফ জমে থাকায় সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, আগের তুলনায় অক্সিজেন বেশি নিতে পারলেও তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। মুখও ফুলে গিয়েছে। তবে কথা বলছেন। মানুষও চিনতে পারছেন। আজ, বুধবার থেকে তাঁর শরীরে অন্য ভাবে অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা হবে। পিকে-র পারিবারিক সূত্রের খবর, ডাক্তাররা তাঁদের জানিয়েছেন আরও বাহাত্তর ঘণ্টা না কাটলে কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়।
রোম অলিম্পিক্সের অধিনায়ক ও এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য পিকে-কে সোমবার বিকেলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ভেন্টিলেশনে পাঠনো হয়। বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় একুশ দিন ভর্তি আছেন দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা কোচ। ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের ডাক্তাররা মঙ্গলবার বিকেলে পরীক্ষার পরে সরকারি ভাবে জানিয়েছেন, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন চুনী গোস্বামী, তুলসীদাস বলরামের একসময়ের সতীর্থ। আশঙ্কা আছে বলেই তাঁকে আপাতত ভেন্টিলেশনেই রাখা হবে। এর আগে একবার জানুয়ারিতে সাতের দশকের সফলতম কোচকে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু দিন সাতেক রেখে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বার অবশ্য পরিস্থিতি অনেক গুরুতর।
পিকে-র অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফুটবলপ্রেমীরা খোঁজ নিতে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা খবর ছড়ায়। এ দিন তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান তাঁর ভাই ফুটবলার-সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সমরেশ চৌধুরী, সন্দীপ মুন্সি, সুমিত মুখোপাধ্যায়েরা। হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষও। তবে কাউকেই পি-কের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।