পিয়ালি বসাককে নিয়ে শোভাযাত্রা। —নিজস্ব চিত্র।
বিনা অক্সিজেনে এভারেস্ট জয়ের পরের লক্ষ্য স্থির করে ফেললেন পিয়ালি বসাক। ঘরে ফিরেই বললেন, ‘‘সব আট হাজারি শৃঙ্গ বিনা অক্সিজেনেই জিতব।’’
মাস দুয়েক পর চন্দননগরে নিজের বাড়িতে ফিরতেই বিজয়ীর সংবর্ধনা পেলেন পিয়ালি। তাঁকে নিয়ে হুডখোলা গাড়িতে করে ব্যান্ডপার্টি সহযোগে এলাকা ঘোরানোর বন্দোবস্ত করলেন চন্দননগর পুরপ্রশাসন কর্তপক্ষ। ফুল ছড়িয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে স্বাগত জানালেন তাঁর পাড়াপড়শি থেকে আত্মীয়পরিজনেরা। স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত পিয়ালি। তবে এভারেস্ট জয়ের পরেও থেমে থাকতে চান না পিয়ালি। এ বার সব ক’টি আট হাজারি শৃঙ্গজয়ই তাঁর পাখির চোখ!
গত মাসের ২২ তারিখে ইতিহাস গড়েছিলেন পিয়ালি। সাপ্লিমেন্টারি অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় করেছিলেন তিনি। তার আগে অক্টোবরে দেশের প্রথম মহিলা পর্বতারোহী হিসাবে পৌঁছেছিলেন ধৌলাগিরি শৃঙ্গে। সে বারও অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই ওই শৃঙ্গে চড়েছিলেন। ধৌলাগিরি, এভারেস্ট-সহ মানসালু এবং লোৎসের মতো আট হাজারি শৃঙ্গও জয় করেছেন পিয়ালি। এভারেস্ট অভিযানের জন্যই প্রায় দুই মাস বাড়িছাড়া থাকতে হয়েছে তাঁকে।
নতুন উচ্চতার স্বপ্ন দেখছেন পিয়ালি। —নিজস্ব চিত্র।
শনিবার সকালে চন্দননগরের ঘরের মেয়ে বাড়ি ফিরতেই খুশির জোয়ার বয়ে যায় এলাকায়। চন্দননগর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহিত নন্দীর তত্ত্বাবধানে মুন্সিপুকুর মোড় থেকে ব্যান্ডপার্টি সহযোগে একটি হুডখোলা গাড়িতে শোভাযাত্রা করে পিয়ালিকে তাঁর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
পিয়ালিকে নিয়ে চন্দননগরের আবেগ ছিল চোখে পড়ার মতো। মালা পরিয়ে, ফুল ছড়িয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে পিয়ালিকে স্বাগত জানানো হয়। বাড়ির সামনে আসতেই মেয়েকে দেখে কেঁদে ফেলেন পিয়ালির মা স্বপ্না বসাক। মেয়েকে জড়িয়ে ধরে মিষ্টিমুখ করান। প্রায় দু’মাস পর বাড়ি ফিরেছে মেয়ে। তাই পিয়ালির জন্য দুপুরের খাবারে তাঁর প্রিয় মাছের ঝোল আর ভাত রান্না করে রেখেছিলেন স্বপ্না।
পরিচিতদের কাছ থেকে এই সংবর্ধনায় আপ্লুত পিয়ালি। তিনি বলেন, ‘‘এই অভিযানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এলাকাবাসী থেকে আমার শুভানুধ্যায়ীরা। তাঁদের সাহায্য ছাড়া এই জয় সম্ভব হত না।’’