ছেড়ে আসা সংসারের মুখোমুখি গুয়ার্দিওলা আর আন্সেলোত্তি

তিন বছর যেন এই অপেক্ষাটাই করছিলেন পেপ গুয়ার্দিওলা। পুরনো ক্লাব বার্সেলোনার মুখেমুখি কবে হবেন। না হলে শুক্রবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ড্র হওয়ার পরেই বায়ার্ন মিউনিখ কোচ কেন বলবেন, ‘‘কেরিয়ারে মুহূর্তটা আমার জন্য স্পেশ্যাল। বার্সেলোনা আমার জীবনের সব কিছু ছিল। তাই ওদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচটা আমার কাছে অনেকটা ঘরে ফেরার মতোই।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিয়ন, সুইৎজারল্যান্ড শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৩
Share:

তখন সযন্তে লালিত। গুরু-শিষ্যের এই ছবি পাল্টে যাচ্ছে ৬ মে।

তিন বছর যেন এই অপেক্ষাটাই করছিলেন পেপ গুয়ার্দিওলা। পুরনো ক্লাব বার্সেলোনার মুখেমুখি কবে হবেন। না হলে শুক্রবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ড্র হওয়ার পরেই বায়ার্ন মিউনিখ কোচ কেন বলবেন, ‘‘কেরিয়ারে মুহূর্তটা আমার জন্য স্পেশ্যাল। বার্সেলোনা আমার জীবনের সব কিছু ছিল। তাই ওদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচটা আমার কাছে অনেকটা ঘরে ফেরার মতোই।’’

Advertisement

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর রিয়াল মাদ্রিদের সামনে জুভেন্তাস। ইতালির ঘরোয়া লিগ চ্যাম্পিয়নরা আবার রিয়াল কোচ কার্লো আন্সে‌লোত্তিরও পুরনো ক্লাব। ১৯৯৯-২০০১ যেখানে কোচের দায়িত্ব সামলেছেন ‘কারলেট্টো’। তবে ড্রয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্সেলোত্তির চেয়ে গুয়ার্দিওলাকে নিয়েই বেশি হইচই হচ্ছে। সে যতই গুয়ার্দিওলার দু’টোর পাশে আন্সেলোত্তির কোচিং সিভিতে তিনটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকুক না কেন!

তিন বছর আগে বার্সার কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর এই প্রথম মেসিদের বিরুদ্ধে গুয়ার্দিওলার নতুন দল নামবে যে। তাই কিংবদন্তি প্রাক্তন বার্সেলোনা কোচের গলায় আবেগ, ‘‘বায়ার্নের সঙ্গে বার্সেলোনায় যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত। এই দুটো ম্যাচ আমি কখনও ভুলব না।’’

Advertisement

এর আগে ২০১২-১৩ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ বার সেমিফাইনালেই মুখোমুখি লড়াইয়ে বায়ার্ন দু’পর্বে ৭-০ জিতেছিল। গুয়ার্দিওলা যদিও ম্যাচে নামার আগেই বার্সেলোনাকে ‘এখন বিশ্বের সেরা’ বলে দিয়েছেন। ‘‘বার্সেলোনা বিশ্বসেরা টিম। মানসিক বা ফুটবল দর্শনের দিক থেকে টিমটা একই রকম আছে। ওদের হারাতে আমাদের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে হবে।’’ সঙ্গে পুরনো শিষ্যকে আটকানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মেসিকে আটকাতে আমাদের ডিফেন্স যতটা সম্ভব শক্তিশালী করার চেষ্টা করব।’’

গুয়ার্দিওলার প্রাক্তন ছাত্র আবার পুরনো গুরুর টিমের বিরুদ্ধে নামার আগে শারীরিক সমস্যা মেটাতে মরিয়া। শোনা যাচ্ছে, বমি করার তাঁর পুরনো সমস্যা সারাতে এক ইতালীয় চিকিৎসকের সাহায্য নিচ্ছেন এলএম টেন। সে জন্য ইতালির সেসিলে মেসি আগেও দু’বার গিয়েছিলেন। এ দিনও যান। তবে সেই চিকিৎসক এ ব্যাপারে বিশদে কিছু জানাননি। এর মধ্যে আবার বার্সা কোচ লুই এনরিকে আবার মহাযুদ্ধে নামার আগে গুয়ার্দিওলাকে প্রশংসায় ভরিয়ে পাল্টা চাপে রাখার কৌশল নিলেন কি না সেই প্রশ্নও উঠছে। এনরিকে বলে দেন, ‘‘পেপ কোচ হিসেবে সেরা। যে ভাবে উনি একের পর এক খেতাব জিতেছেন আর আক্রমণাত্মক ফুটবলে যে ভাবে সেটা উনি অর্জন করেছেন আমি তার ভক্ত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement