ঝলমলে সাই-এর আজহার

রবিবার কাঞ্চনজঙ্ঘায় ডার্বিতে মোহনবাগানের অন্যতম গোলদাতা আজাহারউদ্দিন মল্লিককে নিয়ে দল যেমন উৎফুল্ল, তেমনই গর্বিত শিলিগুড়িবাসী। এই শহরে শিলিগুড়ি সাইতে বছর পাঁচেক আগে খেলতেন তিনি। ফরওয়ার্ডের এই ফুটবলার সাইয়ের কলকাতা লিগের টিমে সুযোগ পান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৫৯
Share:

উদ্‌যাপন: নর্ডিকে জড়িয়ে আনন্দ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

রবিবার কাঞ্চনজঙ্ঘায় ডার্বিতে মোহনবাগানের অন্যতম গোলদাতা আজাহারউদ্দিন মল্লিককে নিয়ে দল যেমন উৎফুল্ল, তেমনই গর্বিত শিলিগুড়িবাসী। এই শহরে শিলিগুড়ি সাইতে বছর পাঁচেক আগে খেলতেন তিনি। ফরওয়ার্ডের এই ফুটবলার সাইয়ের কলকাতা লিগের টিমে সুযোগ পান। সেখানে পারফরম্যান্স দেখেই সবুজমেরুনে সুযোগ মেলে তার। আর এ দিন গোল দিয়ে তিনি শিলিগুড়ির প্রতি তার প্রতিদান দিলেন বলে মনে করছেন খোদ কোচ সঞ্জয় সেন।

Advertisement

উচ্ছ্বসিত মোহন কোচ বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে এক সময় ও খেলত। এখান থেকেই ও উঠে এসেছে। ভাল ফুটবলার। আর আজকে গোল করে ও এই শহরের প্রতি প্রতিদান দিল। ডার্বিতে গোল করা আলাদা ব্যাপার। এ সেটা করেছে।’’ সেই সঙ্গে কোচের প্রশংসা ওর মতো তরুণ তুর্কি দলে দরকার ছিল। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম ও যাতে গোল করতে পারে।’’

সাইয়ের শিলিগুড়ি কেন্দ্রের কর্মকর্তা থেকে বর্তমান ফুটবলাররাও আজাহারউদ্দিনের সাফল্যে উৎফুল্ল। এ দিন হোটেলে ফিরতেই তাকে এবং সনি নর্ডিকে নিয়ে শ্যাম্পেন উড়িয়ে উৎসবে মেতে ওঠে হোটেল কর্তৃপক্ষও।

Advertisement

কোচের কথার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে আজহারের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘‘ডার্বিতে গোল করতে পেরে আমি ধন্য। আমি নিজের সেরাটা দিতেই চেষ্টা করেছিলাম। ডার্বিতে গোল পাওয়া যে কোনও ফুটবলারের ক্ষেত্রে বড় ব্যাপার।’’

ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি হুগলিতে হলেও শিলিগুড়ি সাইতে তিনি সুযোগ পেয়ে এখানেই থাকতে শুরু করেছিলেন। ২০ বছরের এই ফুটবলারের কৃতিত্বে খুশি শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের অনেকেই।

ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ জানান, ও সাইয়ের হয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফুটবল লিগও খেলেছে। ওর খেলা তখন থেকেই নজর কাড়ত বলে তিনি জানান। শিলিগুড়ি ফুটবল অ্যাকাডেমির কোচ জয়ব্রত ঘোষ জানান, সাইয়ে ও বেশ কয়েক বছর খেলেছে। মোহনবাগানে সুযোগ পাওয়ার আগে এখানেই অনুশীলনে ওর ফুটবলের ভিত তৈরি হয়। ওর মতো ফুটবলার আরও উন্নতি করুক সেই প্রার্থনাই করি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement