ঋদ্ধিমান সাহা।
জে সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থেকে ঋদ্ধিমান সাহার রেকর্ড গড়ার খবর তাঁর নিজের শহর শিলিগুড়িতে পৌঁছতে দেরি হয়নি। শনিবার দুপুরে ওই খবরে তাঁর দলে ফেরার সম্ভবনা নিয়ে দিন গুনতে শুরু করলেন শহরবাসী।
পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে মাঝপথে ছিটকে যেতে হয়েছিল ঋদ্ধিকে। তাঁর চোট কতটা, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু চোট সারিয়ে ঋদ্ধিমান যে মেজাজে ফিরতে চলেছেন, সেটা এ দিন কালীঘাট মাঠে তাঁর ব্যাটিংয়ের পর ফ্যানদের মুখে মুখে ফিরছে। ম্যাচ দেখতে এ দিন মাঠেই ছিলেন শিলিগুড়ির অগ্রগামী সঙ্ঘের অন্যতম কর্মকর্তা তথা ঋদ্ধিমানের কোচ জয়ন্ত ভৌমিক। তিনি জানান, ১৪টি ওভার বাউন্ডারি এবং ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে এ দিন মোহনবাগানকে জিতিয়েছে ঋদ্ধিমান। যে কোনও ফরম্যাটে এত কম বলে সেঞ্চুরি বিশ্বে আর কারও নেই। এ দিন ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনআর প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৪৭ রানের ইনিংস গড়লেও ঋদ্ধিমান কী ভাবে খড়কুটোর মতো তাদের উড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁর কোচের মুখ থেকেই তা শহরের অনেকেই শুনেছেন।
জয়ন্তবাবু বলেন, ‘‘পায়ে চোটের জন্য বাদ যেতে হয়েছিল। তা নিয়ে অনেক চর্চাও হয়েছিল। দলে যত তাড়িতাড়ি ফিরতে পারবে সেটাই আমাদে সকলের কাছে বড় ব্যাপার।’’ এ দিন শক্তিগড় এলাকায় ঋদ্ধিমানের পাড়াতেও অনেকেই এই রেকর্ড নিয়ে হইচই করেছে। ভারতীয় দলের বাইরে তাকে বেশি দিন রাখা যাবে না বলেও অনেকে দাবি করতে থাকেন। শিলিগুড়ির বাসিন্দা ঋদ্ধিমানের মামা পার্থ গোস্বামী বলেন, ‘‘এ দিন দুপুরেই খবরটা পেয়েছি। ও দ্রুত দলে ফিরুক সেটাই সকলে চাইছি।’’ শক্তিগড়ের বাসিন্দা ক্রিকেটপ্রেমী জয় রায়, দীপক মোহন্তরা জানান, দলে ওর সুযোগ পাওয়া ছাড়া সামনে আইপিএল-ও রয়েছে। ওর কাছ থেকে শহরের মানুষের প্রত্যাশাও বাড়ছে।
খুশি পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘মাঝে চোটের জন্য খেলতে পারেনি। যে ভাবে ও খেলছে তাতে ভবিষ্যতে অনেকদিন ভারতীয় ক্রিকেটকে শাসন করবে। আরও উন্নতি করবে।’’ ঋদ্ধিমানকে শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে মেয়র ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করেছেন আগেই। মেয়রের কথায়, আগামীতে এই শহরকে ঋদ্ধিমান আরও অনেক সম্মান দেবে বলে তিনি আশাবাদী। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের বিদায়ী সচিব অরূপ রতন ঘোষ বলেন, ‘‘এটা বিশ্বরেকর্ড বলেই জেনেছি। দারুণ ব্যাপার।’’