পরীক্ষা: প্রস্তুতিতে রাদুকানু ও শিয়নটেক।
উইম্বলডনে গত ৪৫ বছরে ব্রিটেনের কোনও মহিলা চ্যাম্পিয়ন হননি। এমা রাদুকানুকে নিয়ে সেই স্বপ্ন দেখছেন ব্রিটিশেরা। মেয়েদের টেনিসে বিশ্বের ১১ নম্বর এই খেলোয়াড় গত বছর প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে চমকে দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু শ্বাসকষ্টের কারণে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে। কিন্তু তার পরে গত সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতে নিজের প্রতিভার জানান দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালের উইম্বলডন জিতেছিলেন গ্রেট ব্রিটেনের ভার্জিনিয়া ওয়েড। তার পরে দ্বিতীয় ব্রিটিশ মহিলা হিসেবে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রতিযোগিতা জিতে ইতিহাস স্পর্শ করেছিলেন রাদুকানু।
কিন্তু সেই যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের পরে বাকি প্রতিযোগিতাগুলো মসৃণ ভাবে এগোয়নি ১৯ বছর বয়সি এই টেনিস খেলোয়াড়ের। কারণ এর পরে কোনও প্রতিযোগিতাতেই দু’টির বেশি ম্যাচ জিততে পারেননি রাদুকানু। তাই এ বারের উইম্বলডন তাঁর কাছে নতুন পরীক্ষা। এই সময়ে করোনা সংক্রমিত হওয়া, চোট ও কোচ থিতু না হওয়ার মতো একাধিক সমস্যাতেই বিব্রত থাকতে হয়েছে রাদুকানুকে। অস্ট্রেলীয় ও ফরাসি ওপেনে সে কারণেই সাফল্য আসেনি রাদুকানুর। এই সব সমস্যা ঝেড়ে ফেলে এ বার ব্রিটিশ এই খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছেন উইম্বলডন জেতার জন্য। সোমবার প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ খেলবেন তিনি। কিন্তু সেখানে তাঁর সমস্যা সেই চোট। উইম্বলডনে রাদুকানুর খেলা নিয়ে আরও বেশি আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল শুক্রবার। গারবিনে মুগুরুসার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে খেলার সময় পেশির টানে উঠে যান তিনি।
এ দিকে, উইম্বলডনের ট্রফি জেতার দৌড়ে অনেকেই বিশ্বের এক নম্বর ইগা শিয়ানটেককে এগিয়ে রাখলেও ঘাসের কোর্টে খেলার ব্যাপারে এখনও পুরোপুরিস্বচ্ছন্দ নন তিনি। ২০ বছর বয়সি ইগা ইতিমধ্যেই দুটি ফরাসি ওপেন ট্রফি জিতে ফেলেছেন। সবচেয়ে বড় কথা টানা ৩৫ ম্যাচ তাঁকে কেউ হারাতে পারেনি। যার দাপটে ছ’টি খেতাবও জিতেছেন। তবে এই সব জয়েই এসেছে ক্লে আর হার্ড কোর্টে। তাই অল ইংল্যান্ড ক্লাবে নতুন পরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছেন তিনি। ‘‘সত্যি বলতে আমার মনে হয় ঘাসে খেলার ব্যাপারটা আমাকে রপ্ত করতে হবে। গত বছর এটা এমন একটা প্রতিযোগিতা হয়ে উঠেছিল যেখানে আমার প্রত্যাশা কী হতে পারে, বুঝতে পারছিলাম না,’’ বলেছেন ইগা।