ফাইল চিত্র।
হতে পারে বায়ার্ন মিউনিখের কাজ শেষ হয়েছে। শনিবারই তারা টানা ন’বার বুন্দেশলিগা জয়ের অনন্য নজির গড়ে ফেলেছে। তবে একজনের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। রবার্ট লেয়নডস্কির। যিনি শনিবার বায়ার্নের হয়ে হ্যাটট্রিকের পরেই পাখির চোখ করেছেন, ৪৯ বছরের পুরনো গার্ড মুলারের রেকর্ডকে।
বুন্দেশলিগার একটি মরসুমে সব চেয়ে বেশি ৪০ গোলের নজির এখনও কিংবদন্তি জার্মান তারকার। তবে এ বার লেয়নডস্কি প্রায় ধরে ফেলেছেন তাঁকে। চলতি মরসুমে পোলান্ডের তারকা করেছেন ৩৯ গোল। লিগে বায়ার্নের এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি। তার মধ্যে দু’টো গোল করতে হবে লেয়নডস্কিকে। তা হলেই ভেঙে যাবে এত দিনের পুরনো রেকর্ড। বায়ার্নের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কার্ল হেইনজ রুমেনিগে বলেছেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে, আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম মুলারের রেকর্ডটা চিরকাল থেকে যাবে। কেউ ভাঙতে পারবে না।’’ যোগ করেন, ‘‘রবার্টের হাতে এখনও দু’টো ম্যাচ রয়েছে। মুলারকে ধরে ফেলতেই পারে। এমনকি রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সে ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস লেখা হবে ওর হাত ধরেই।’’
বায়ার্ন ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে লেয়নডস্কি ৩৪৮ ম্যাচে গোল করেছেন ২৭৫টি। এ ক্ষেত্রেও মুলারের পরে তিনিই বুন্দেশলিগায় দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলদাতা। গত মরসুমে গোল করেন ৩৪টি। সেটা জার্মানির লিগে চতুর্থ সেরা নজির। প্রথম তিনটি রেকর্ডই সর্বকালের সেরা জার্মান গোল-শিকারি মুলারের। বুন্দেশলিগায় তাঁর মোট গোল? অবিশ্বাস্য, ৪২৭ ম্যাচে ৩৬৫টি!
বায়ার্নের কোচ হান্সি ফ্লিক জানাচ্ছেন, ছোটবেলায় মুলার তাঁরও আদর্শ ছিলেন। এবং ইতিহাস হয়ে যাওয়া সেই রেকর্ড এ’মরসুমের পরেও অক্ষত থেকে গেলে তার কৃতিত্ব কিংবদন্তি তারকারই থাকবে। ‘‘রবার্টকে কিন্তু মুলারকে ছাপিয়ে যেতে খুব সাবধানে পা ফেলতে হবে,’’ মন্তব্য ফ্লিকের। আলিয়াঞ্জ এরিনার বিদায়ী কোচ এমনটা বলছেন কারণ আরবি লাইপজ়িসের বিরুদ্ধে লেয়নডস্কি হলুদ কার্ড দেখেছেন। পরের ম্যাচে আউগসবার্গের বিরুদ্ধেও কার্ড দেখলে শেষ ম্যাচে (প্রতিপক্ষ এসসি ফ্রেইবার্গ) তিনি খেলতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে নজির গড়ার সুযোগ কমে যাবে পোলিশ তারকার।
তবে বায়ার্ন মিউনিখে সতীর্থ থোমাস মুলার বলে দিয়েছেন, ‘‘আমরা ওকে গোলের পাস দিতেই থাকব। নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলে, নতুন রেকর্ডের মালিক রবার্টই হবে।’’ প্রসঙ্গত, মুলারের পাস থেকে এ বার বায়ার্নের ১৯টি গোল হয়েছে।
এ দিকে, লেয়নডস্কি নিজেও শনিবার ম্যাচের পরে বলছেন, ‘‘হ্যাঁ রেকর্ড ভাঙতেই চাই। লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যে এসেছে লাইপজ়িস ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার ফলে। তার সব কৃতিত্ব সতীর্থদেরই। ওরাই বারবার আমাকে গোলের বল সাজিয়ে দিয়েছে। আপাতত একটাই কাজ। অসম্ভবকে সম্ভব করতে বাকি দু’টি ম্যাচে মাথা ঠান্ডা রাখা।’’