টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণা আমিরের

শুক্রবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি মারফত নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আমির। শুধুমাত্র ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়েই এগোতে চান। ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে তৈরি করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাক পেসার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০৫:৩২
Share:

বিদায়: নতুন প্রতিভাকে সুযোগ দিতে সরে গেলেন আমির। ফাইল চিত্র

আর টেস্ট খেলতে দেখা যাবে না পাক পেসার মহম্মদ আমিরকে। শুধুমাত্র সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করবেন তিনি।

Advertisement

শুক্রবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি মারফত নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আমির। শুধুমাত্র ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়েই এগোতে চান। ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে তৈরি করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাক পেসার।

আমির লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের হয়ে এত দিন টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া আমার কাছে বিরাট সম্মানের। কিন্তু বড় ফর্ম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চাই। আপাতত সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার জন্য তৈরি হতে চাই।’’

Advertisement

অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইউটিউবে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন আমির। যেখানে পাঁচ বছর নির্বাসিত থাকার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন পাক পেসার। তিনি বলেন, ‘‘বয়স বাড়ছে। শরীরে ক্লান্তির পরিমাণও আগের চেয়ে বেশি। তাই টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার এটাই সব চেয়ে ভাল সময়।’’

স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত হয়ে পাঁচ বছর নির্বাসিত হয়েছিলেন আমির। বলছিলেন, ‘‘খুব কষ্টে পাঁচটি বছর কেটেছে। সেই সময় ক্রিকেটের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও নিয়মিত অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি রাখতাম। তাই শেষ তিন বছর চুটিয়ে টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছি। কিন্তু টেস্ট খেলার মতো ফিটনেস আমার আর নেই। আপাতত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে তৈরি করব। ওয়ান ডে-ও খেলব। কিন্তু টেস্ট খেলার জন্য যে ফিটনেস প্রয়োজন, তা আর নেই।’’

ভিডিয়োয় কথা বলার সময় গলা ধরে আসে আমিরের। কিন্তু সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘‘অবসরের সিদ্ধান্ত যেন কেউ ভুল ভাবে না নেয়। আমার উত্তরসূরিরা পাকিস্তান ক্রিকেটকে অবশ্যই এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’

সিদ্ধান্ত জানানোর সময় নিজের সাফল্যের মুহূর্তগুলোর স্মৃতিচারণ করেছেন আমির। ৩৬টি টেস্ট খেলে তাঁর ঝুলিতে ১১৯ উইকেট। চার বার পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। লর্ডসের অনর’স বোর্ডে সব চেয়ে তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে নাম উঠেছিল তাঁর। আমিরের কথায়, ‘‘লর্ডস আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। ছয় উইকেট পেয়ে সাফল্যের তালিকায় নাম উঠেছিল। সেটা আমার টেস্ট জীবনের বড় প্রাপ্তি। এ ছাড়াও টেস্টের এক নম্বর দলের সদস্য ছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২৬ বছর পরে টেস্ট সিরিজ জেতার দলের সদস্য হয়েও গর্ববোধ করি। ক্রিকেটই আমাকে সব কিছু দিয়েছে। আগামী দিনেও দেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement