জিতেও সন্তুষ্ট নন, সেরাটা দিতে চান খেতাবি

ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের এক নম্বর তারকা বলে দিচ্ছেন, তিনি এখনও নিজের খেলায় সন্তুষ্ট নন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৯ ০৪:২০
Share:

শনিবার সেমিফাইনালে বিশ্বের তিন নম্বর, চিনের চেন উফেই-কে হারিয়েছেন সিন্ধু

এই নিয়ে টানা তিন বার তিনি বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে উঠলেন। কিন্তু তা নিয়ে বাড়তি কোনও উচ্ছ্বাস নেই পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধুর। ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের এক নম্বর তারকা বলে দিচ্ছেন, তিনি এখনও নিজের খেলায় সন্তুষ্ট নন।

Advertisement

শনিবার সেমিফাইনালে বিশ্বের তিন নম্বর, চিনের চেন উফেই-কে হারিয়ে সিন্ধুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘নিজেকে লক্ষ্যের প্রতি আরও একাগ্র করে তোলাই আমার এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য। আর এটাও মনে রাখছি, লড়াই এখনও শেষ হয়নি। ফলে সন্তুষ্টির কোনও প্রশ্ন ওঠে না।’’ সেখানেই না থেমে সিন্ধু আরও যোগ করেছেন, ‘‘নিঃসন্দেহে ফাইনালে উঠে আমি খুশি কিন্তু এটাও বলে রাখা দরকার নিজের খেলায় এখনও সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আরও একটা ম্যাচ রয়েছে। সেখানে সেরা ব্যাডমিন্টন খেলে সোনা জয়ই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’’

গত ডিসেম্বরে ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে খেতাব জয়ের পরে সিন্ধুর নামের পাশে নেই কোনও খেতাব। চলতি বছরে সিঙ্গাপুর এবং ইন্ডিয়া ওপেন ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছেন তিনি। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ান ওপেনে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল রুপো জিতে। কিন্তু নতুন কোরীয় কোচ কিম জু হুনের সাহচর্য যে তাঁর মানসিকতা এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন এনেছে, তা সিন্ধুর মন্তব্যেই পরিষ্কার। আজ, রবিবার ফাইনালে নজ়োমি ওকুহারার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে সিন্ধুর মন্তব্য, ‘‘লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না। ফলে মনঃসংযোগ বাড়াতে হবে। অনেক বেশি একাগ্রচিত্তে ফাইনালটা খেলতে হবে। তার চেয়েও বড় বিষয়, এই ম্যাচটা জিততে হলে অনেক বেশি ধৈর্যশীল থাকতে হবে। শুরু থেকে নিজের সেরা খেলা উজাড় করে দিতে হবে। তবেই সোনা জেতা সম্ভব।’’

Advertisement

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে আসার আগে সিন্ধু জানিয়েছিলেন, তিনি এ বার প্রস্তুতিতে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন তিনটি জায়গাতে। প্রথমত রক্ষণ মজবুত করা। তারই সঙ্গে ফিটনেসকে সর্বোচ্চ স্তরে রেখে কোর্টে বিভিন্ন ধরনের স্কিলে জোর দেওয়া। তারই প্রতিফলন ধরা পড়েছে বাসেলে চলতি প্রতিযোগিতাতেও। শনিবারের সেমিফাইনালেও সিন্ধুর ফিটনেস, শটের বৈচিত্র এবং দুর্দান্ত ফিটনেসের সামনে পাল্টা প্রতিরোধ গড়তে পারেননি চেন। যা নিয়ে সিন্ধু বলেছেন, ‘‘আমি এই ম্যাচের জন্য সমস্ত দিক থেকে তৈরি রেখেছিলাম নিজেকে। শুরু থেকে এগিয়েও ছিলাম এবং শেষের কাজটাও ঠিকঠাক করতে পেরেছি।’’ যদিও সিন্ধু এও মানছেন, দ্বিতীয় গেমে তিনি বেশ কিছু অবাঞ্ছিত ভুল করে ফেলেছিলেন। পরে দ্রুত সেই ভুল শুধরে নেন। সিন্ধুর কথায়, ‘‘দ্বিতীয় গেমের শুরুতে বেশ কয়েকটা বাজে ভুল হয়ে গিয়েছিল। দ্রুত সতর্ক হয়ে এগিয়ে যাই এবং আত্মবিশ্বাসটা আবারও ফিরে এসেছিল। ফলে সে ভাবে দেখতে গেলে, সেমিফাইনাল ম্যাচটা খুব খারাপ হয়নি। তবে যেটা আগেও বলেছি, তারই পুনরাবৃত্তি করি। আরও ভাল খেলতে হবে। আরও নিখুঁত হতে হবে।’’

পরিসংখ্যান বলছে, শেষ দু’বছর এই মঞ্চ থেকে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে হায়দরাবাদের ২৪ বছরের তারকাকে। তার মধ্যে ২০১৭ সালে ওকুহারার কাছেই তাঁকে হার মানতে হয়েছিল। যদিও অতীত নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি এই মুহূর্তে বিশ্বের পাঁচ নম্বর মহিলা তারকা। বলেছেন, ‘‘সে ভাবে দেখলে রাতচানক ইনতানন এবং ওকুহারা, দুজনের বিরুদ্ধেই সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত খেলেছি। ফলে কোনও বাড়তি চাপ নিতে চাই না আমি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আলাদা ভাবে আমার কোনও পছন্দ অথবা অপছন্দ নেই। আশা করছি, রবিবার ভাল একটা ম্যাচ হতে চলেছে।’’ সতর্কতা বজায় রেখে যোগ করেছেন, ‘‘যে কোনও কিছুই ঘটে যেতে পারে। আপাতত নিজের খেলায় মনঃসংযোগ করব এবং ফাইনালে সেরা খেলাটা উপহার দেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement