অবশেষে শেষ হাসি গোপীচন্দের ছাত্রীর

চ্যাম্পিয়ন হয়ে সিন্ধু: ফাইনালে কেন হারি, আর কেউ বলবে না

অবশেষে সোনার পদক গলায় উঠল পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধুর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০৫
Share:

দুরন্ত: চিনের গুয়াংঝৌয়ে মরসুমের শেষ প্রতিযোগিতায় জেতার পরে ট্রফি নিয়ে সিন্ধু। রবিবার। এপি

অবশেষে সোনার পদক গলায় উঠল পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধুর। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নজোমি ওকুহারাকে ওয়ার্ল্ড টুর ফাইনালসের চূড়ান্ত যুদ্ধে হারিয়ে। সাতটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে পরাজিত হওয়ার পরে এত বড় সাফল্য এল সিন্ধুর। তাঁর আগে কোনও ভারতীয় ওয়ার্ল্ড টুরে চ্যাম্পিয়ন হননি। রবিবার চিনের গুয়াংঝৌয়ে এক ঘণ্টা দু’মিনিটের লড়াই সিন্ধু জিতলেন ২১-১৯, ২১-১৭ ফলে।

Advertisement

চ্যাম্পিয়ন হয়ে সিন্ধুকে দারুণ চাপমুক্ত দেখিয়েছে। পরিষ্কার বলেছেন, এর পর অন্তত তাঁর বড় প্রতিযোগিতা জিততে না পারা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবেন না। ‘‘এখানে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এত ভাল লাগছে যে, বলে বোঝাতে পারব না। আসলে কী যে বলব সেটাও বুঝতে পারছি না। বারবার নানা জায়গায় ফাইনালে হারার পর সাফল্যটা এল। তাও এত বড় মঞ্চে! তাই এই জয় আমার কাছে অবিস্মরণীয়। বছরটা সত্যিই দারুণ ভাবে শেষ হল,’’ বলেছেন আপ্লুত ভারতীয় তারকা। সঙ্গে সিন্ধু যোগ করেছেন, ‘‘এত দিন আমি যখন যেখানে গিয়েছি, লোকে একটা কথাই জানতে চেয়েছে। কেন বারবার ফাইনালে হেরে যাচ্ছি। আশা করি, আজকের পরে এই প্রশ্নটা আর কেউ আমাকে করবেন না। আর আমিও বলব যে, এ বার সোনা কিন্তু আমিই জিতেছি। এই সাফল্যে সত্যিই আমি দারুণ গর্বিত।’’

সিন্ধুর সাফল্যে খুবই খুশি তাঁর কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দ। বললেন, ‘‘ওর ফাইনালে হেরে যাওয়া নিয়ে বড্ড বেশি কথা হচ্ছিল। যেটা সত্যিই আর ভাল লাগছিল না। সিন্ধুর নিজের মনের উপরও চাপ পড়ছিল। এমন একটা অবস্থায়, এতটা দাপট নিয়ে এখানে জয়টা ওর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ গোপীচন্দ আরও বলেন, ‘‘আমার মতোই দেশের সবাই এই দিনটার অপেক্ষায় ছিল। বছরের একেবারে শেষে এসে এই জয়টা তাই আমাদের সবার কাছে বিরাট ব্যাপার।’’ আর সিন্ধুর নিজের কথা, ‘‘টুর ফাইনালসে গত বছরের আগের বছর সেমিফাইনালে হেরে যাই। গত বছর হারি ফাইনালে। এ বার চ্যাম্পিয়ন হলাম। তাও লিগ পর্বে সেরা তারকাদের বিরুদ্ধে সব ম্যাচ জিতে। তাই এই প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা আমার কাছে খুবই তৃপ্তিদায়ক’’

Advertisement

সিন্ধু জানিয়েছেন, আপাতত কিছুদিন এই জয় উপভোগ করতে চান। তবে দেশে ফিরেই তাঁকে নেমে যেতে হবে ভারতের প্রিমিয়ার ব্যাডমিন্টন লিগে খেলতে। বলেছেন, ‘‘ইন্ডিয়ান লিগেও ভাল কিছু করতে চাই।’’ রবিবার ওকুহারাকে হারানো নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ, ‘‘খুব ভাল খেলা হল। প্রচুর র‌্যালিও হয়েছে। মাঝেমাঝে গত বারের ফাইনালের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু দ্রুত আজকের খেলায় মন ফিরিয়ে এনেছি।’’ তাঁর আরও কথা, ‘‘ওকুহারা বা ইয়ামাগুচিকে হারানোটা সব সময়ই কঠিন। আজও যেমন এক একবার ৩০ থেকে ৪০টি র‌্যালি হয়েছে। কিন্তু আমি আমার একশো ভাগই দিয়েছি। জিতলামও। তবে ওকুহারাও আজ বেশ ভাল খেলেছে।’’ পরের বছরের লক্ষ্য কী? সিন্ধুর জবাব, ‘‘পরের বছর অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের চাপ থাকবে। তাই নিজেকে ফিট রাখাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতা অনুযায়ী স্ট্র্যাটেজিও ঠিক করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement