.
চার বছর আগের লন্ডন অলিম্পিক্সে তিনি প্রতিবন্ধকতার সংজ্ঞাটাই বদলে দিয়েছিলেন। হাঁটুর তলা থেকে দু’পা না থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম পায়ে সাধারণ স্প্রিন্টারদের সঙ্গে লড়ে চারশো মিটারের সেমিফাইনালে এবং রিলের ফাইনালে দৌড়ে। ঠিক চার বছর পর তাঁর অনেক সতীর্থ যখন রিও অলিম্পিক্সে ব্যস্ত, তখন অস্কার পিস্টোরিয়াসও খবরে ফিরলেন। তবে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টার জল্পনা উস্কে।
শনিবার বেলার দিকে জরুরি ভিত্তিতে পিস্টোরিয়াসকে প্রিটোরিয়ার জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় কব্জির চোটের শুশ্রূষার জন্য। বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে হত্যার দায়ে জেলের যে ঘরে ছ’বছরের কারাবাসের শাস্তি কাটাচ্ছেন পিস্টোরিয়াস, সেই ঘর থেকে দু’টি ব্লেডও উদ্ধার হয়। যার পরেই রটে যায় ঊনত্রিশ বছরের প্যারালিম্পিয়ান আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
ব্লেড রানার নিজে অবশ্য ঘোরতর অস্বীকার করেছেন এই অভিযোগ। বলেছেন, ‘‘আমি খাট থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। তাতেই চোট লেগেছে কব্জিতে।’’ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পিস্টোরিয়াস জেল কর্তাদের বলেছেন, ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুয়েছিলেন। রাতে উঠে নিজের সেলের টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে চুঁইয়ে পড়া জলে পিছলে যান। তখনই পাশের ড্রয়ারে ধাক্কা লেগে হাতে চোট পান। মাথায়ও আঘাত লাগে। পিস্টোরিয়াসকে জেলে ফিরিয়ে আনার পর এ দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করে অ্যাথলিটের ভাই কার্ল। তিনিও পরে বলেছেন, ‘‘অস্কার পড়ে গিয়েছিল। তবে এখন ভাল আছে। মানসিক ভাবেও চাঙ্গা আছে।’’