লড়াই: নেয়োমির এই মুখাবরণ নিয়েই এখন যত চর্চা। রয়টার্স
নেয়োমি ওসাকা যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের প্রথম ম্যাচ জিতলেও চাননি ব্রেয়োনা টেলরকে কেউ ভুলে যাক। সোমবার কোর্টে যখন তিনি প্রবেশ করছেন। তাঁর মুখাবরণে লেখা ছিল ‘‘ব্রেয়োনা টেলর’’ নামটি। যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা নিয়ে প্রতিবাদ চলার মধ্যেই বিশ্বের সব চেয়ে দামি মহিলা অ্যাথলিট জানিয়ে দেন, তিনি বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে গ্র্যান্ড স্ল্যামের এই মঞ্চকে ব্যবহার করছেন।
৬-২, ৫-৭, ৬-২ ফলে ম্যাচ জেতার পরে ওসাকা বলেছেন, ‘‘জানি টেনিস বিশ্বের সব জায়গাতেই মানুষ দেখেন। হয়তো তাঁদের মধ্যে অনেকে আছেন যাঁরা ব্রেয়োনা টেলরের ঘটনাটা জানেন না। হয়তো তাঁরা এটা দেখার পরে গুগলে খুঁজবেন। আমার কাছে এটা শুধু সচেতনতা বাড়ানোর একটা প্রয়াস। আমার মনে হয়, যত তাঁরা এটা নিয়ে জানবেন, তত আগ্রহী হয়ে উঠবেন।’’ এই আফ্রিকান-আমেরিকান নার্স ব্রেয়োনা, মার্চ মাসে পুলিশের গুলিতে নিজের বাড়িতেই মারা গিয়েছিলেন। সাদা পোশাকে তিন জন পুলিশ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন। তখন ব্রেয়োনার প্রেমিক সতর্ক করার জন্য গুলি চালিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, বাড়িতে অন্য কেউ ঢুকে পড়েছে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। তাতেই মারা যান ব্রেয়োনা।
ওসাকা বলেছেন, ব্রেয়োনার মতো এ রকম সাত জনের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান তিনি সাতটি মুখাবরণ পরে। ‘‘আমার কাছে সাতটা মুখাবরণ আছে এ রকম। কিন্তু এত নাম রয়েছে যে, সাতটাই যথেষ্ট নয়। আশা করছি ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারব, যাতে সবাই নামগুলো
দেখতে পায়,’’ বলেন ওসাকা।
জাপানি তারকা জিতলেও হেরে গিয়েছেন কোকো গফ। ১৬ বছর বয়সি গফকে হারান প্রাক্তন সেমিফাইনালিস্ট আনাস্তাসিয়া সেভাসতোভা। পাশাপাশি প্রতিযেগিতার প্রথম দিন করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ এক খেলোয়াড়ের সংস্পর্শে আসা দু’জনকে কোর্টে নামার অনুমতি দেওয়া হয়। লুইস আর্মস্ট্রং স্টেডিয়ামে কোকো হারেন ৩-৬, ৭-৫, ৪-৬ ফলে। কোকো ম্যাচের পরে বলেছেন, ‘‘দর্শক থাকুক বা না থাকুক, আমার পক্ষে যতটা লড়াই করা সম্ভব করেছি। আরও ভাল খেলা উচিত ছিল।’’