জ্যাভলিনে পাকিস্তানকে সোনা এনে দেওয়ার পরে আরশাদ নাদিম। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ব্যক্তিগত সোনা জিতেছেন আরশাদ নাদিম। পাকিস্তানকে অলিম্পিক্সে ৩২ বছর পরে পদক এনে দিয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে নায়কের সম্মান পাচ্ছেন আরশাদ। তাঁকে আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। কিন্তু তার পরেও সমস্যায় আরশাদ। অনুশীলনের মাঠ পেলেন না তিনি। বাবর আজ়মদের জন্য সমস্যায় অ্যাথলিট।
পাকিস্তান অ্যাথলেটিক্স সংস্থার চেয়ারম্যান মুহম্মদ আক্রম সাহি জানিয়েছেন, দেশের ক্রিকেটের জন্য সমস্যায় পড়ছেন আরশাদ। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তানে আসা আরশাদের জন্য ভাল খবর নয়। ওরা লাহৌরে রয়েছে। তাই আরশাদকে সেখানকার মাঠে অনুশীলনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আরশাদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অনুশীলনের মাঠ না পাওয়া। পাকিস্তানের সব বড় মাঠই ক্রিকেট মাঠ। সারা বছরই সেখানে প্রতিযোগিতা চলে। তা হলে আরশাদ কখন অনুশীলন করবে?”
এই বিষয়ে অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কোনও মন্তব্য করেনি। উল্টে পাকিস্তানের টেস্ট দলের কোচ জেসন গিলেসপি জানিয়েছেন, তিনি চান আরশাদ তাঁদের সাজঘরে আসুন। তাতে ক্রিকেটারেরা উজ্জীবিত হবেন। গিলেসপি বলেন, “আমরা আরশাদকে সাজঘরে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমি দেখেছি অলিম্পিক্সের সময় ক্রিকেটারেরা কী ভাবে আরশাদকে সমর্থন করেছে। তাই ও আমাদের সাজঘরে এলে ক্রিকেটারেরা ওর সোনার পদক হাতে নিয়ে দেখতে পারবে। অলিম্পিক্সের পদক ছুঁয়ে দেখাও বড় সম্মানের।” আরশাদের ইভেন্টের আগে বাবর আজ়ম-সহ পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটার তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। সোনাজয়ের পরেও শুভেচ্ছা জানান তাঁরা।
জ্যাভলিনের ফাইনালে দ্বিতীয় থ্রোয়ে ৯২.৯৭ মিটার ছুড়ে সোনা জেতেন আরশাদ। রুপো জেতেন ভারতের নীরজ চোপড়া। দ্বিতীয় থ্রোয়ে অত দূর ছুড়তে না পারলে তিনি চাপে পড়ে যেতেন বলে জানিয়েছেন আরশাদ। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদি দ্বিতীয় থ্রো অত দূরে না যেত তা হলে তৃতীয় থ্রোয়ের আগে আমি চাপে পড়ে যেতাম। কারণ, বাকি দুটো খুব একটা ভাল হয়নি।”
পাকিস্তানে ফেরার পরে আরশাদকে পুরস্কার বাবদ সাড়ে ৭ কোটি টাকা দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। তাঁকে একটি গাড়িও উপহার দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশে উৎসব হয়েছে। তার মাঝেই আরশাদের একটি সমস্যায় কথা তুলে ধরলেন দেশের অ্যাথলেটিক্স সংস্থার চেয়ারম্যান।