বিয়ের আসরে সাক্ষী-সত্যার্থ। ছবি: পিটিআই।
বিয়েটা সেরেই ফেললেন সাক্ষী মালিক। ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে ভারতের ঘরে প্রথম পদক এসেছিল তাঁরই হাত ধরে, কুস্তিতে। তার পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিয়ে করছেন পরের বছরই। দীর্ঘদিনের প্রেমিক কুস্তিগীর সত্যার্থ কাদিয়ানকে বিয়ে করলেন তিনি। রোহতকে এক জমজমাট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হল এই সেলিব্রিটির বিয়ের অনুষ্ঠান। নিজেই মেহেন্দির ছবি টুইট করলেন সাক্ষী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘নিজেকে রাঙিয়ে ফেলার সময় এসেছে। আমি উচ্ছ্বসিত।’’
আরও খবর: রিং-এর মধ্যেই বান্ধবীকে প্রোপোজ!
২০১৬ অলিম্পিক্সে কুস্তির ৫৮ কেজি বিভাগে প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলা পদক তুলে নিয়েছিল নিজের নামে। তিনিই প্রথম ভারতকে পদক এনে দিয়েছিলেন। ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। প্রথম দিকে হারছিলেন। পরে রেপচেজ রাউন্ডে বাজিমাত করেন তিনি। পিছিয়ে পড়েও শেষ বেলায় পদক জয় সহজ ছিল না। খেলার জগত থেকে এ বার ব্যাক্তিগত জীবনেও একধাপ এগোলেন তিনি। রোহতকে সাক্ষীর বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সুশীল সিংহর মতো সেলিব্রিটি কুস্তিগীর। সাক্ষীর বাবা সুখবীর সিংহ জানিয়েছেন, ওদের বিভন্ন প্রতিযোগিতার আসরে দেখা হয়েছে। দু’জনেই ভাল কুস্তিগীর। সাক্ষী পরিবারকে সত্যার্থের কথা জানানোর পর ওঁরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এবং সত্যার্থকে সবারই খুব ভাল লেগে যায়। তার পরই বিয়ে ঠিক হয়। সুখবীর বলেন, ‘‘এটা লাভ কাম অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ’’। যদিও সাক্ষীর বাবার বিশ্বাস বিয়ের পর দু’জনে আরও বেশি নিজেদের খেলায় মন দেবেন।
কুস্তিতে সিনিয়ার অলিম্পিক্সে না যেতে পারলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে নাম করেছিলেন সত্যার্থ। ২০১০ যুব অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। এর সঙ্গে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে জুনিয়ার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ, ২০১৪ গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে রুপো। গ্লাসগোতেই সাক্ষীর সঙ্গে প্রথম দেখা সত্যার্থের। তার পর প্রেম গড়িয়েছে নিজের ছন্দেই। বিয়েতে সাক্ষী পরেছিলেন লাল সুতোর কাজ করা লেহেঙ্গা। সত্যার্থ পরেছিলেন অলিভ গ্রিন শেরওয়ানি। বিয়েতে আসা অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় সাক্ষীর সাফল্যের বিভিন্য মুহূর্তের কোলাজের ছবি দিয়ে। বিয়ের আসরে এলসিডি স্ক্রিনে সারাক্ষণই চলছিল সাক্ষীর অলিম্পিক্স পদক জয়ের সেই মুহূর্ত। টুইটারেও সেলিব্রিটিরা সাক্ষীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।