অলিম্পিক্সে হারের পরে হতাশ শিয়নটেক। ছবি: রয়টার্স।
অলিম্পিক্সে মহিলাদের টেনিসে অঘটন। সিঙ্গলসের সেমিফাইনালে হারলেন বিশ্বের এক নম্বর ইগা শিয়নটেক। তিন বারের ফরাসি ওপেন জয়ী তারকা পছন্দের লাল সুরকির কোর্টেই হেরে গেলেন। তাঁকে হারালেন চিনের অনামী টেনিস খেলোয়াড় ঝেং কুইনওয়েন। তিনি জিতলেন স্ট্রেট সেটে (৬-২, ৭-৫)। এ বার ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে খেলতে হবে তাঁকে।
গত তিন বার ফরাসি ওপেন জিতেছেন শিয়নটেক। লাল সুরকির রানি বলা হয় তাঁকে। এ বার অলিম্পিক্সে নিজের পছন্দের সারফেসে খেলতে পেয়েছিলেন শিয়নটেক। অলিম্পিক্স শুরুর আগেই থেকেই বিশেষজ্ঞেরা মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা শিয়নটেকের গলাতেই দেখছিলেন। পরিচিত ফিলিপে শাঁতিয়ের কোর্টে তাঁকে কেউ হারাতে পারবে, এ কথা বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু সেমিফাইনালে সেটাই দেখা গেল।
শুধু শিয়নটেককে হারানো নয়, মাটি ধরিয়ে দিলেন ঝেং। প্রথম সেটে তৃতীয় গেমেই শিয়নটেকের সার্ভিস ভাঙেন তিনি। পোল্যান্ডের খেলোয়াড়ের চোখমুখ দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না। পরের গেমে অবশ্য ঝেঙের সার্ভিস ভাঙেন শিয়নটেক। পঞ্চম গেমে আবার শিয়নটেকের সার্ভিস ভাঙেন ঝেং। প্রথম সার্ভিসে সমস্যা হচ্ছিল বিশ্বের এক নম্বরের। তারই ফয়দা তোলেন ঝেং। এক বার এগিয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে আটকাতে পারেননি শিয়নটেক। সেই সেটে আরও এক বার শিয়নটেকের সার্ভিস ভাঙেন ঝেং। ৬-২ গেমে জিতে যান প্রথম সেট।
ম্যাচ বাঁচাতে হলে দ্বিতীয় সেট জিততে হত শিয়নটেককে। সেটের শুরুটাও দারুণ করেন তিনি। পর পর চারটি গেম জেতেন শিয়নটেক। দু’বার ঝেঙের সার্ভিস ভাঙেন। দেখে মনে হচ্ছিল, প্রথম সেটের বদলা নেবেন। কিন্তু তখনও চমকের বাকি ছিল। পঞ্চম গেমে শিয়নটেকের সার্ভিস ভাঙেন চিনা খেলোয়াড়। শিয়নটেকের মতোই তিনিও পর পর চারটি গেম জেতেন। ০-৪ থেকে ৪-৪ করেন তিনি। ১১ নম্বর গেমে আবার শিয়নটেকের সার্ভিস ভেঙে এগিয়ে যান ঝেং।
লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে পরের গেমে ঝেঙের সার্ভিস ভাঙতে হত শিয়নটেককে। ব্রেক পয়েন্টও পান তিনি। কিন্তু তা ধরে রাখতে পারেননি। ঝেং ফেরেন। বিশ্বের এক নম্বরের চোখে চোখ রেখে সেই গেম জিতে সেট জিতে যান তিনি।