আরশাদ নাদিম। —ফাইল চিত্র।
৩২ বছর পর পাকিস্তানকে অলিম্পিক্স পদক এনে দিয়েছেন আরশাদ নাদিম। প্রথম বার পাকিস্তানের কোনও প্রতিযোগী অলিম্পিক্সে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা পেলেন। জ্যাভলিনে ৯২.৯৭ মিটার দূরত্ব পার করে দেশকে সোনা দিলেন আরশাদ। কিন্তু সেই পথ পার করা সহজ ছিল না।
নাদিমের অনুশীলনে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল অর্থ। সঠিক জ্যাভলিনই ছিল না তাঁর কাছে। আরশাদ কয়েক মাস আগেও ঠিক মতো অনুশীলন করতে পারছিলেন না। আধুনিক একটিও জ্যাভলিন ছিল না তাঁর কাছে। গত সাত-আট বছর ধরে একটি জ্যাভলিন নিয়েই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নামছিলেন। পাঁচ মাস আগে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন পাক অ্যাথলিট। তার পর আরশাদের সমস্যার সমাধান হয়। তাঁর বাবা বলেন, “আরশাদ এই জায়গায় কী ভাবে পৌঁছেছে, সেই সম্পর্কে কারও কোনও আন্দাজ নেই। আমাদের গ্রামের প্রতিবেশী, আত্মীয়েরা টাকা দিয়েছিল ওকে অনুশীলন করার জন্য।” গত কয়েক মাস নিজেকে অনুশীলনে ডুবিয়ে রাখার সাফল্য পেলেন আরশাদ। পাকিস্তানকে প্রথম ব্যক্তিগত সোনা এনে দিলেন অলিম্পিক্স থেকে।
পাকিস্তান ব্যক্তিগত ইভেন্টে পদক পেয়েছে মাত্র তিন বার। ১৯৬০ সালে রোম এবং ১৯৮৮ সালে সিয়োল অলিম্পিক্সে পদক পেয়েছিল পাকিস্তান। প্রথমটি কুস্তিতে এবং দ্বিতীয়টি বক্সিংয়ে। তৃতীয়টি এল জ্যাভলিনে। আরশাদ সোনা এনে দিলেন। তিনিই দেশকে প্রথম সোনা এনে দিলেন ব্যক্তিগত ইভেন্টে।
বছরের শুরুতে আরশাদ অনুশীলন করার জন্য জ্যাভলিন চেয়েছিলেন। নীরজ চোপড়া সমাজমাধ্যমে তাঁর হয়ে আর্জিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু যত বিপদে পড়েছেন আরশাদ, তত ভাল খেলেছেন তিনি। কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছিলেন। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে রুপো পেয়েছিলেন। এ বার অলিম্পিক্সেও সোনা জিতলেন তিনি।