আলজেরিয়ার বক্সার ইমান খেলিফ। —ফাইল চিত্র।
অলিম্পিক্সে বক্সিং নিয়ে বিতর্ক চলছেই। জিনগত ভাবে পুরুষ হয়েও মহিলাদের ইভেন্টে নেমেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ইমান খেলিফের বিরুদ্ধে। আলজেরিয়ার সেই বক্সার অলিম্পিক্সে পদক নিশ্চিত করলেন। ৬৬ কেজি বিভাগে সেমিফাইনালে উঠলেন তিনি। হেরে গেলেও ব্রোঞ্জ পাবেন। দেশকে মেয়েদের বক্সিংয়ে প্রথম পদক এনে দিলেন খেলিফ।
কোয়ার্টার ফাইনালে হাঙ্গেরির অ্যানা হামোরিকে হারিয়ে দেন খেলিফ। আলজেরিয়া বক্সিংয়ে এর আগে পদক জিতেছিল সিডনি অলিম্পিক্সে। ২৪ বছর পর বক্সিংয়ে পদক পেল তারা। মোহামেদ আলালৌ পুরুষদের ইভেন্টে পদক এনে দিয়েছিলেন। মহিলাদের বিভাগে এই প্রথম বার আলজেরিয়ার কেউ বক্সিংয়ে পদক জিতলেন। খেলিফ কোয়ার্টার ফাইনালে জিততেই কেঁদে ফেলেন।
খেলিফের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ইটালির অ্যাঞ্জেলা কারিনি ৪৬ সেকেন্ড লড়াই করেই নাম তুলে নিয়েছিলেন। সেই থেকেই এ বারের অলিম্পিক্সে আলজেরিয়ার বক্সারকে নিয়ে বিতর্কের শুরু। কারিনি যে ৪৬ সেকেন্ড রিংয়ে ছিলেন, তাতে দু’বার ঘুষি লাগে তার। তাতেই নাকে লাগে। নাক ভেঙেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। রিংয়ের মধ্যেই নাক থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়। যার পরেই নাম তুলে নেন কারিনি। সেই সঙ্গে সমাজমাধ্যমে খেলিফকে ‘জিনগত ভাবে পুরুষ’, ‘রূপান্তরকামী’ বলা হতে থাকে।
২০২৩ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলিফকে বাদ দেওয়াও হয়েছিল। দিল্লিতে হয়েছিল সেই প্রতিযোগিতা। জানা গিয়েছিল খেলিফের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বেশি। একই কারণে বাদ পড়েছিলেন তাইওয়ানের লিন ইউ টিং। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিক্সে তাঁরা দু’জনেই রয়েছেন। খেলিফের লিঙ্গপরীক্ষা করা হয়। সেখানে দেখা যায় তাঁর শরীরে এক্সওয়াই ক্রোমোজ়োম রয়েছে। যা ছেলেদের শরীরে থাকে। বেশির ভাগ মেয়েদের শরীরে থাকে এক্সএক্স ক্রোমোজ়োম। আন্তর্জাতিক বক্সিং সংস্থার সভাপতি উমর ক্রেমলেভ বলেন, “খেলিফ মহিলা হওয়ার ভান করছেন। সতীর্থদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।”