প্যারিসেই কেরিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম পূর্ণ করেছিলেন। রোলঁ গ্যারোজই তাঁকে এনে দিয়েছিল টেনিস বিশ্বের বিরল সম্মান। মহার্ঘ চারটি গ্ল্যান্ড স্ল্যামই জেতার নজির। কে জানত তাঁর ঠিক এক বছর পরে সেই ফরাসি ওপেনেই তিনি কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় আঘাতটা পাবেন। যা তাঁর গ্র্যান্ড স্ল্যাম কেরিয়ারে এক যুগে দেখা যায়নি। একটিও গেম না জিতে সেট হারার লজ্জা!
নোভাক জকোভিচ আজ বিধ্বস্ত। নোভাক জকোভিচ আজ দিশাহারা। রোলঁ গ্যারোজে বিশ্রী হারের পরে বুধবার তাঁর কথাতেই সেটা পরিষ্কার। ‘‘এ রকম পরিস্থিতিতে আগে কখনও পড়িনি। বিশেষ করে গত সাত-আট মাসের মতো কোনও টুর্নামেন্ট জিততে না পারার মতো অবস্থা বহুদিন দেখিনি,’’ বলেন জকোভিচ।
প্রশ্ন উঠে যায় এ বার টেনিস থেকে কি কিছুদিন সরে থাকার কথা ভাবছেন সার্বিয়ান তারকা?
নোভাক বলেন, ‘‘বিশ্বাস করুন, আমার মাথায় এখন অনেক কিছু ঘুরছে। গত কয়েক মাস ধরেই ঘুরছে। এখন শুধু বোঝার চেষ্টা করছি কোন পথে এগোনো ঠিক হবে।’’
আরও পড়ুন: হেরে ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে ছিটকে গেলে জকোভিচ
জকোভিচের ঘাতক ডমিনিক থিয়েমের লড়াই এ বার সেমিফাইনালে রাফায়েল নাদালের বিরুদ্ধে। এ দিকে জকোভিচ ছাড়া পুরুষদের সিঙ্গলসে শেষ চারে প্রত্যাশামতোই উঠলেন অ্যান্ডি মারে এবং স্ট্যানিসলাস ওয়ারিঙ্কা। মারে প্রথম সেটে হারলেও শেষ পর্যন্ত কেই নিশিকোরির বিরুদ্ধে জেতেন ২-৬, ৬-১, ৭-৬ (৭-০), ৬-১। সুইস তারকা ওয়ারিঙ্কা হারান মারিন চিলিচকে ৬-৩, ৬-৩, ৬-১।
অঘটন ঘটেনি মেয়েদের সিঙ্গলসের কোয়ার্টার ফাইনালেও। বুধবার শেষ চারে উঠলেন ক্যারোলিন প্লিসকোভা ও সিমোনা হালেপ। দ্বিতীয় বাছাই প্লিসকোভা হারান ক্যারোলিন গার্সিয়াকে। হালেপ প্রথম সেটে হারলেও শেষ পর্যন্ত জেতেন এলিনা সোয়াইতোলিনার বিরুদ্ধে ৩-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৬-০।