যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সেমিফাইনালে জকোভিচদের লড়াই দেখছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: ফেসবুক।
বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামও চলে এল শেষের দিকে। নোভাক জকোভিচের এ বারের ইন্টারেস্টিং অভিযানও তাই। ওয়াকওভার আর চোটের জন্য বিপক্ষের মাঝপথে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ায় প্রথম সপ্তাহটা যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে খুব কম সময়ই কোর্টে থাকতে হয়েছে নোভাককে। তাতে কব্জির চোট সারানোর সময়টা পেয়ে গিয়েছেও।
রোলারকোস্টারের মতো বছরটা গেল নোভাকের। যেখানে ফরাসি ওপেনে জয় আছে। যেটা ওর কেরিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম আর চারটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার বিরল সম্মান এনে দিয়েছে। তেমনই উল্টো ছবি রয়েছে উইম্বলডনে। অপ্রত্যাশিত হার। অলিম্পিক্সে প্রথম রাউন্ডে হারটাও কম হতাশাজনক ছিল না।
এ বার ফাইনালে নোভাকের সামনে স্ট্যান ওয়ারিঙ্কার চ্যালেঞ্জ। সবার চোখ ছিল অন্য দিকে, তার মধ্যে কিন্তু আবার ফাইনালে উঠে দেখিয়ে দিল স্ট্যান। হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোকে রুখে দেওয়ার পাশাপাশি স্ট্যান কিন্তু ফর্মে থাকা নিশিকোরিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। যে ফাইনালে আবার সেই একই স্টাইলের টেনিস আর বেসলাইন থেকে গোলার মতো উড়ে যাওয়া গ্রাউন্ডস্ট্রোকের লড়াই দেখা যাবে। জানি, ওয়ারিঙ্কা নোভাকের সেরাটা নিংড়ে বের করে নিতে চাইবে। নোভাকও নিশ্চয়ই সেটাই করবে।
একটা কথা বলব, রিওতে হারের পর থেকে বিশেষজ্ঞ আর প্রাক্তন প্লেয়াররা যে ভাবে নোভাকের সমালোচনা করেছে সেটা কিন্তু আমি বা নোভাক কেউ আশা করিনি। আড়াই বছর ধরে প্রায় সব দিক থেকেই টেনিস সার্কিট শাসন করার পর যখন এমন মন্তব্য শুনতে হয় যে, নোভাক শীর্ষে থাকার যোগ্য নয়, তখন ওর টিমের একজন হিসেবে আমার খারাপ লাগে।
এটা ঠিক, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে নামার আগে নোভাকের কব্জিতে চোটের সমস্যা ছিল। যেটা প্রথম সপ্তাহের চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন করে দিয়েছিল ওর জন্য। অন্য টুর্নামেন্টে হয়তো অতটা প্রভাব পড়ত না, তবে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে এই কয়েকটা দিন বিশ্রাম পাওয়াটা ওর কব্জির জন্য দারুণ কাজে দিয়েছে।
তবে শুক্রবার কিন্তু বিপজ্জনক আর ফর্মে থাকা মঁফিসের বিরুদ্ধে ওর সেরা খেলাটা বার করে আনতে পেরেছিল নোভাক। হার্ডকোর্ট মরসুমটা দারুণ যাচ্ছিল মঁফিসের। ওয়াশিংটনে জয়, দু’একটা টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালেও উঠেছিল ও।
ম্যাচের আগেই আমরা জানতাম নোভাকের বিরুদ্ধে মঁফিস স্পেশ্যাল কিছু একটা করার চেষ্টায় থাকবে। তাই নোভাককে অপ্রত্যাশিত কিছুর জন্য তৈরি থাকতে হবে। আরও কঠিন করে দিয়েছিল প্রচণ্ড আর্দ্রতা। ম্যাচটা ঘুরে যায় মঁফিস ২০ মিনিটের ‘টয়লেট ব্রেক’ নেওয়ার পরেই। সেই সুযোগে ফাইনালে ওঠার প্রয়োজনীয় মোমেন্টামটা পেয়ে যায় নোভাক।
দেল পোত্রো, তার পর নিশিকোরি। দুটো লড়াই ফাইনালের আগে ওয়ারিঙ্কাকে তৈরি হওয়ার ভাল সুযোগ করে দিয়েছে। রবিবার আরও একটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে নোভাকের। স্ট্যানের বড় অস্ত্র, সিঙ্গল হ্যান্ডেড ব্যকহ্যান্ডের মোকাবিলা করা। তার জন্য ওর সেরা খেলাটা দেখাতেই হবে নোভাককে। (গেমপ্ল্যান)