নোভাক জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স
আধুনিক সময়ে টেনিসে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে দেখা গিয়েছে। আলেকজান্ডার জেরেভ, হোলগার রুন, ক্যাসপার রুড থেকে ডানিল মেদভেদেভ। সবার বিরুদ্ধেই খেলেছেন নোভাক জোকোভিচ। কিন্তু সার্বিয়ার খেলোয়াড়কে থামানোর মতো খেলোয়াড় খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী রবিবার আর এক নতুন প্রতিভা কার্লোস আলকারাজের বিরুদ্ধে খেলবেন জোকোভিচ। তার আগে বলে দিলেন, নিজের বয়স এখন অনেক কম মনে হচ্ছে। কেরিয়ারের সেরা টেনিসটা এখনই খেলছেন বলে মত তাঁর।
শুক্রবার নবম বারের মতো উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেছেন জোকোভিচ। জিতলে অষ্টম বার ট্রফি জিতে রজার ফেডেরারকে ছুঁয়ে ফেলবেন। তার আগে নিজের বয়স দশ বছর কমিয়ে দিলেন জোকোভিচ। ম্যাচের পর বলেছেন, “আমার মনে হয় ৩৬টাই এখন নতুন ২৬। খুব ভাল লাগছে এটা ভেবে। এখন নিজেকে অনেক অনুপ্রাণিত লাগছে। এই খেলাটা আমাকে এবং পরিবারকে অনেক কিছু দিয়েছে। তাই যতটা পারব এই খেলাটাকে কিছু ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা একটা ব্যক্তিগত খেলা খেলি। তাই নিজের উপরেই নিজেকে নির্ভরশীল হতে হবে। কোর্টে নামার আগে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে নিজেকে সবার উপরে রাখতে হবে।”
সরাসরি সেটে জিতলেও জোকোভিচ মানতে রাজি নন যে লড়াই সহজ হয়েছে। বরং প্রতিপক্ষ সিনারকে অনেক বেশি কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিনি। বলেছেন, “সেমিফাইনালে বরাবরই কঠিন ম্যাচ খেলতে হয় এবং এই ম্যাচটাও কঠিন ছিল। স্কোরলাইন দেখে সব সময় বোঝা যায় না যে ম্যাচটা কতটা হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে। খুব রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচ খেললাম। ও কিছু শট খেলতে পারেনি। তাই শেষ সেটে টাইব্রেক হয়েছে। তবে সিনার প্রমাণ করেছে কেন ওকে আগামী প্রজন্মের নেতা বলা হয়। নিঃসন্দেহে ও বিশ্বের অন্যতম একজন সেরা খেলোয়াড়।”