ধাক্কা: প্যারিস-বিপর্যয়ের পরে হতাশ জোকোভিচ। ফাইল চিত্র
নোভাক জোকোভিচ মঙ্গলবারের হারে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। ১২ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সার্বিয়ান তারকা এতটাই হতাশ যে টেনিস নিয়ে এখন কিছু ভাবছেন না। উইম্বলডনে নামাও অনিশ্চিত।
মঙ্গলবার জোকোভিচ হারেন বিশ্বের ৭২ নম্বর মার্কো চেকিনাতোর বিরুদ্ধে। তার কেরিয়ারে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এত পিছিয়ে থাকা খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এ রকম হার ছিল মাত্র দুটি। ২০০৮ সালে মারাট সাফিনের বিরুদ্ধে। তখন সাফিনের র্যাঙ্কিং ছিল ৭৮। এ ছাড়া দ্বিতীয় হার গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ১১৭ নম্বর ডেনিস ইস্তোমিনের বিরুদ্ধে।
ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পরে হতাশ জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘জানি না ঘাসের মরসুমে খেলব কি না। এই মুহূর্তে আমার মাথায় টেনিস নেই।’’ হারটা তাঁকে মানসিক ভাবেও কতটা ধাক্কা দিয়েছে সেটা জোকোভিচের কথাতেই পরিষ্কার।
গত বছর থেকেই জোকোভিচের সময়টা ভাল যাচ্ছে না। কনুইয়ের চোট তাঁকে প্রচুর সমস্যায় ফেলেছে। যে জন্য মরসুমে অনেকটা সময়ই বাইরে কাটাতে হয়েছে। ২০১৭ মরসুমে তাঁর খেতাব এসেছে মাত্র দুটি। তুলনায় ২০১৬ মরসুমে জিতেছিলেন সাতটি এবং তার আগের মরসুমে ১৫টি। চলতি মরসুমেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তিনি শেষ ষোলোয় হেয়ান চুং-এর কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিলেন বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকে। ফরাসি ওপেনে তাঁকে ছন্দে ফিরতে দেখা গিয়েছিল। মনে করা হয়েছিল ফাইনালে জোকোভিচ বনাম নাদাল লড়াই হতে পারে। কিন্তু তাঁর ইতালীয় প্রতিদ্বন্দ্বী সেই আশায় জল ঢেলে দেন। জোকোভিচ আরও বলেছেন, ‘‘খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। জীবনে অনেক কিছুই আছে যা সামলানো কঠিন।’’
ঠিক উল্টো ছবি চেকিনাতোর ক্ষেত্রে। ইতালীয় তরুণ শেষ চারের ল়ড়াইয়ে ডমিনিক থিমের মুখোমুখি। তিনি ফাইনালে উঠতে এতটাই মরিয়া যে বলেছেন, ‘‘থিমের বিরুদ্ধে জিততে যদি আমায় রক্ত দিয়ে সই করতে হয়, তাতেও রাজি। জানি তার পরেও হয়তো ফাইনালে নাদালের কাছে হারতে হবে।’’ নিকোলা পিয়েত্রাঙ্গেলি (১৯৫৯ এবং ১৯৬০) ও আদ্রিয়ানো পানেত্তার (১৯৭৬) পরে তৃতীয় ইতালীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ফরাসি ওপেন জেতার দৌড়ে।
তবে যতই তিনি জোকোভিচকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠা নিয়ে চর্চাও চলছে। যে অভিযোগে তাঁকে ১৮ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি অভিযোগ থেকে মুক্তি পান। সেই সময়ের কথা এখন আর ভাবতে চান না ২৫ বছর বয়সি চেকিনাতো। তিনি বলছেন, ‘‘আগেও বলেছি এই বিষয়ে আমি কোনও কথা বলব না। যে মুহূর্তটার সামনে এখন দাঁড়িয়ে আছি, সেটা নিয়ে ভাবতে চাই।’’