প্রস্তুতি: তৈরি হচ্ছেন নোভাক, সেরিনা। এএফপি, গেটি ইমেজেস
বছরের প্রথম টেনিস গ্র্যান্ড স্ল্যাম এসে পড়ল। খেলোয়াড়রা কিন্তু সবাই একটু ম্যাচ প্র্যাক্টিসের অভাবে ভুগতে পারে। মানছি, হপম্যান কাপ, ব্রিসবেন আর সিডনির প্রতিযোগিতাগুলো হয়েছে, কিন্তু সেরা খেলোয়াড়রা আর কতই বা ম্যাচ প্র্যাক্টিস পেয়েছে?
কাগজে-কলমে অস্ট্রেলীয় ওপেনে আমার কাছে ফেভারিট নোভাক জোকোভিচ। তার পরে রজার ফেডেরার। দু’জনেই এই ট্রফি ছয় বার করে জিতেছে। শেষ দু’বার জিতেছে রজার। কিন্তু তা সত্ত্বেও নোভাকই এগিয়ে শুরু করবে। বছরের শেষ দু’টো গ্র্যান্ড স্ল্যাম (উইম্বলডন এবং যুক্তরাষ্ট্র ওপেন) জেতার পরে এক দিক দিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে নোভাক।
রাফায়েল নাদালকে নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের পর থেকে আর খেলেনি নাদাল। ফলে শেষ চার মাসে কোনও সরকারি ম্যাচ পায়নি ও। আপনি যতই প্র্যাক্টিস করুন না কেন, ম্যাচ না খেললে বুঝতেই পারবেন না ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন। অস্ট্রেলিয়ার জেমস ডাকওয়ার্থের বিরুদ্ধে আজ, সোমবার নামছে নাদাল। গোটা টেনিস বিশ্ব তাকিয়ে থাকবে ওই ম্যাচের দিকে।
আমার মনে হয়, সাশা (আলেকজান্ডার) জেরেভকেও অন্যতম ফেভারিট হিসেবে ধরতে হবে। গত বছরের শেষে এটিপি ফাইনালসে জোকোভিচ, ফেডেরার, দু’জনকেই হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই সাফল্য জেরেভকে ওর প্রজন্মের বাকিদের থেকে এগিয়ে রাখবে। তবে এটাও ঠিক, গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টার ফাইনালের বেশি যেতে পারেনি জেরেভ। সেই চ্যালেঞ্জটা এ বার থাকবে।
অ্যান্ডি মারের অবসরের সিদ্ধান্তটা শোনার পর থেকে মনটা একটু খারাপই হয়ে আছে। উইম্বলডনই ওর শেষ প্রতিযোগিতা হতে চলেছে। লকার রুমে ও বেশ জনপ্রিয় ছিল। মহিলাদের মধ্যেও। সব সময় মহিলাদের সমান অধিকার আর সমান পুরস্কারমূল্য নিয়ে কথা বলেছে। কোর্টে ওর মতো কৌশলী খেলোয়াড় খুব কমই আছে। দুর্ভাগ্য, কোমরের চোটটা কতটা গুরুতর, সেটা ঠিক বুঝতে পারেনি। মাস তিনেক আগে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি। আশা করব, মারে অন্তত উইম্বলডন পর্যন্ত নিজেকে টেনে নিয়ে যেতে পারবে। যাতে ঘরের দর্শকদের সামনে টেনিস থেকে অবসর নিতে পারে।
মেয়েদের বিভাগেও কঠিন লড়াই হবে বলেই মনে হয়। এখানে সিডিং খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে না। সিমোনা হালেপ কিছু দিন হল কোর্টের বাইরে আছে। অ্যাঞ্জি (অ্যাঞ্জেলিক) কের্বার শুরুটা ভাল করেছে। কিন্তু সব নজর থাকবে ওই এক জনের ওপর— সেরিনা উইলিয়ামস। শেষ বার সেরিনা যখন অস্ট্রেলীয় ওপেনে নেমেছিল, ও কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। ফলে ওর প্রত্যাবর্তনের রূপকথার দিকে সবাই তাকিয়ে থাকবে।
(গেমপ্ল্যান)