ক্ষুব্ধ: সেন্টার কোর্ট নিয়ে অভিযোগ তুললেন জকোভিচ। ছবি:গেটি ইমেজেস
উইম্বলডন ফাইনালে রজার ফেডেরার বনাম রাফায়েল নাদাল ম্যাচের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেলেও সেমিফাইনালে ফেডেরার বনাম নোভাক জকোভিচ লড়াই হওয়ার দিকে এক ধাপ এগোলেন সার্বিয়ান মহাতারকা।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বের ৫১ নম্বর ফ্রান্সের আদ্রিয়ান মানারিনোকে মঙ্গলবার জকোভিচ স্ট্রেট সেটে হারান। ফল জকোভিচের পক্ষে ৬-২, ৭-৬ (৭-৫), ৬-৪। দু’ঘণ্টা ১৩ মিনিটের ম্যাচে জকোভিচের প্রতিদ্বন্দ্বীকে সামলানোর থেকেও বেশি ভোগায় নিজের কাঁধের সমস্যা আর সেন্টার কোর্টের ‘গর্ত’।
ম্যাচের পরে সার্বিয়ান তারকা বলেই দেন, ‘‘সেন্টার কোর্টের মাঝখানে একটা গর্ত চোখে পড়েছিল। চেয়ার আম্পায়ারকে তা বলায় উনি গর্তটা দেখাতে বললেন। ওনাকে ম্যাচের শেষে দেখালামও। সব দেখে উনিও অসন্তুষ্ট।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘এ বছর কোর্টের অবস্থা খুব ভাল নয়। অনেক খেলোয়াড়ই এ ব্যাপারে একমত। আমি নিশ্চিত এখানকার গ্রাউন্ডসম্যানরা বিশ্বের সেরা। তবে ঘাসের কোর্টের রক্ষনাবেক্ষণ খুব জটিল কাজ।’’
শুধু কোর্টের সমস্যাই নয়, ম্যাচ চলাকালীন প্রায় বার দুয়েক চিকিৎসককে ডাকার পরে চূড়ান্ত সেটে মেডিক্যাল টাইম আউটও নিতে হয় জকোভিচকে। জকোভিচ অবশ্য নিজের চোট নিয়ে বললেন, ‘‘কাঁধে একটা সমস্যা ক’দিন ধরে হচ্ছে। আমি অবশ্য সেটা সামলেই কোর্টে খেলা চালিয়ে যাচ্ছি। দেখা যাক কেমন থাকি।’’
আরও পড়ুন: ‘গডফাদার’ না থেকেও বিরাট রাজা
ম্যাচটা হওয়ার কথা ছিল সোমবারই এক নম্বর কোর্টে। কিন্তু রাফায়েল নাদাল আর জাইলস মুলারের ম্যারাথন পাঁচ ঘণ্টার লড়াইয়ের জন্য জকোভিচের ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হয় মঙ্গলবার। কেন ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হল? কেন সোমবার ফেডেরার-দিমিত্রভ ম্যাচের পরে সেন্টার কোর্টে জকোভিচের খেলাটা দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন জকোভিচের স্ত্রী জেলেনাও।
শুধু সার্বিয়ান প্রাক্তন বিশ্বসেরাই নয়, তাঁর মঙ্গলবারের প্রতিদ্বন্দ্বী মানারিনোরও ফিটনেস নিয়ে সমস্যা ছিল। তাঁর প্রধান কারণ শেষ ষোলোয় ওঠার পথে পরপর দুটো পাঁচ সেটের ম্যারাথন যুদ্ধ শেষ করে ওঠা। ফরাসি খেলোয়াড়ের প্রথম সার্ভিস গেম ভাঙার সময়ই তাঁকে কোমর ধরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তা সত্ত্বেও প্রথম সেটে দুটো সেট পয়েন্ট বাঁচান তিনি। তাতেও অবশ্য ৩৭ মিনিটে জকোভিচকে সেট দখল করার থেকে রুখতে পারেননি।
দ্বিতীয় সেটে জকোভিচের ডাবল ফল্ট আর কয়েকটা দুর্বল শটের সুযোগে টাইব্রেকারে নিয়ে আসেন মানারিনো। তবে ১২ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়নের সেই বাধা টপকে শেষ আটে উঠতে কোনও সমস্যা হয়নি।
জকোভিচের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বী চেক প্রজাতন্ত্রের এগারো নম্বর বাছাই টমাস বের্ডিচ।