আগ্রাসী: এটিপি ট্যুর ফাইনালসে জয়ের পথে নোভাক জোকোভিচ। আক্রমণাত্মক টেনিসে পুরনো ছন্দ। এএফপি
বিশ্বের এক নম্বর নোভাক জোকোভিচ এটিপি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস টেনিসের সেমিফাইনালে উঠলেন। গ্রুপের ম্যাচে সার্বিয়ান মহাতারকার বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধই কার্যত গড়তে পারেননি জার্মানির আলেকজান্ডার জেরেভ। প্রথম সেটে কিছুটা শক্তির লড়াই হয়েছিল। যা নোভাক জেতেন ৬-৪। দ্বিতীয় সেটে সম্পূর্ণ একপেশে খেলা হয়। এবং জোকোভিচের পক্ষে ফল ৬-১। মারিন চিলিচ গ্রুপের অন্য একটি খেলায় জন ইসনারকে হারাতেই জোকোভিচের সেমিফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয়।
ম্যাচের পরে জোকোভিচ বললেন, ‘‘ভেবেছিলাম জেরেভ আমাকে ভাল মতোই সমস্যায় ফেলবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। আসলে এত সহজে জিতব আমি নিজেও ভাবিনি। তবে জয় সব সময়ই জয়। এমনিতে খুব ভাল সার্ভিসও আমি করিনি। কিন্তু জেরেভ প্রচুর ভুল করায় আমার পক্ষে ম্যাচটা এত সহজে জেতা সম্ভব হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত প্রথম সেটে ডাবল ফল্ট করে জেরেভ জয় উপহার দেন জোকোভিচকে। সারা ম্যাচে তিনি ৩৩টি ভুল করেছেন। নিজের খেলায় বিরক্ত জার্মান তারকাও। বলেছেন, ‘‘আমি যে টেনিসটা আজ খেললাম, তাকে জঘন্য বললেও কম বলা হয়। আসলে টেনিস মরসুমটা এখন বড্ড বেশি দিন ধরে চলছে। আমার এতটা খারাপ খেলার সেটাও কারণ।’’ তাঁকে মনে করানো হয়, এই মরসুমে তিনি ৫৫টি ম্যাচ জিতেছেন। যা অন্য কোনও খেলোয়াড় পারেননি। জেরেভের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কিন্তু এটাও বলুন যে ১১ মাস ধরে টানা খেলে যেতে হচ্ছে আমাদের। আমার তো মনে হয় না যে, অন্য কোনও পেশাদার খেলায় এটা হয়।’’
লন্ডনে নিজের গ্রুপে দু’টি ম্যাচেই জিতলেন জোকোভিচ। কোনও সেটও তিনি হারেননি। গেম জিতেছেন ২৪টি। হেরেছেন ১২টি। ২০১৫ সালে তিনি শেষ বার এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। কনুইয়ে অস্ত্রোপচারের পরে যে ভাবে তিনি সার্কিটে নিজের জায়গা ফিরে পেলেন তা অবিশ্বাস্য। যা নিয়ে জোকোভিচ নিজে বলছেন, ‘‘এখন আগের মতোই কোর্টের একপ্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ছোটাছুটি করে খেলতে পারছি। আমি ভাগ্যবান যে আমার দলের সদস্যরা ফিটনেসের উপরই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন। এই ক’মাস ওঁরা প্রচুর স্ট্রেচিংও করিয়েছেন আমাকে। মরসুমের শেষে এসে বোধহয় তারই ফল পেলাম। তবে বিশ্বাস করুন, এত তাড়াতাড়ি আবার যে এক নম্বর হব তা স্বপ্নেও ভাবিনি। আর এর জন্য কৃতিত্ব আমার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের।’’