নোভাক জোকোভিচ।—ছবি এএফপি
বাইশ থেকে এক নম্বর।
টেনিসে বিশ্ব র্যাঙ্কিং চালু হওয়ার পরে ৪৫ বছরে যা দেখা যায়নি সেটাই করে দেখালেন নোভাক জোকোভিচ। বিশ্বসেরার আসনে ফিরতে অবশ্য প্যারিস মার্স্টার্সে প্রথম রাউন্ডের বেশি জোকোভিচকে র্যাকেট চালাতে হল না। রাফায়েল নাদাল চোটের জন্য নাম তুলে নেওয়ায় প্রায় দু’বছর পরে র্যাঙ্কিংয়ের সিংহাসনে ফিরলেন সার্বিয়ান তারকা। এই প্রথম কোনও টেনিস খেলোয়াড় মরসুমের প্রথমে ২০ জনের বাইরে থাকার পরে সেই বছরই শীর্ষে উঠে এলেন। আরও চমকপ্রদ তথ্য হল, ২০১৬ সালে ফ্রান্সের রাজধানীতেই অ্যান্ডি মারের কাছে হেরে এক নম্বরের আসন খুইয়েছিলেন জোকোভিচ। সেই প্যারিসই যে তাঁকে ফের একই জায়গায় ফিরিয়ে আনবেন সার্বিয়ান তারকাও কি আন্দাজ করতে পেরেছিলেন!
টেনিসপ্রেমীরা এক দিকে যেমন জোকোভিচের এই চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত, তেমনই হতাশ নাদালের চোটের খবরে। স্প্যানিশ মহাতারকা সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে পেটে একটা ব্যাথা অনুভব করছি। বিশেষ করে যখন সার্ভিস করতে যাচ্ছি। চিকিৎসকেরা আমায় কোর্টে না নামার কথা বলেছেন।’’ এটাই পরিষ্কার নয়, নাদাল মরসুম শেষের এটিপি ফাইনালসে নামতে পারবেন কি না। টেনিস প্রেমীদের হতাশার আরও একটা কারণ ছিল। বুধবার রজার ফেডেরারকেও কোর্টে নামতে হল না। তাঁর প্রতিপক্ষ মিলোস রাওনিচ চোটের জন্য সরে দাঁড়ানোয়। তৃতীয় রাউন্ডে উঠে গেলেন ফেডেরার। তাই প্যারিসে এখন ভক্তদের একটাই প্রার্থনা, ফেডেরার-জোকোভিচ দ্বৈরথ।