হতাশ: নৈশালোকে বিরক্ত জোকোভিচ। শনিবার মেলবোর্নে। ছবি: এএফপি।
ম্যাচ জিতলেও এ বারের অস্ট্রেলীয় ওপেনে প্রথম সেট হারালেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচ। আর তার জন্য দায়ী করলেন রড লেভার এরিনার নৈশালোককে। ডেনিস শাপোভালভের বিরুদ্ধে নোভাক জিতলেন ৬-৩, ৬-৪, ৪-৬, ৬-০।
নোভাকের পাখির চোখ মেলবোর্নে নিজের সপ্তম খেতাব। সেই লক্ষ্য ছোঁয়ার পথে কানাডিয়ান প্রতিপক্ষের কাছে একটি সেট হারানোকে কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না। যে সেটে (তৃতীয়) ঝামেলাটা হল সেখানে নোভাক কিন্তু ৩-০ এগিয়েছিলেন। হঠাৎই নৈশালোক জ্বলে ওঠায় আলোকছটায় তাঁর চোখ ঝলসে যায়। তখন কিন্তু কোর্টে পর্যাপ্ত সূর্যালোক ছিল। বিরক্ত নোভাক আম্পায়ারের কাছে জানতে চান, দিনের আলো এত তীব্র হওয়া সত্ত্বেও কেন নৈশালোকের দরকার পড়ল? ঘটনার পরই খেলা থেকে তাঁর মন সরে যায়। তৃতীয় সেটে ৩-০ এগিয়েও পরের সাতটি গেমের ছ’টিতেই হেরে বসেন। নির্ণায়ক সেটে অবশ্য জোকোভিচ দাঁড়াতে দেননি শাপোভালভকে।
ম্যাচের পরে জোকোভিচ বলেন, ‘‘বিকেল পাঁচটার সময় ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে দেওয়ার যুক্তিই থাকতে পারে না। বিশেষ করে তার পরেও যখন এখানে আরও চার ঘণ্টা দিনের আলো থাকে।’’ তিনি দর্শকদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কি বল দেখতে পাচ্ছিলেন?’’ দর্শকেরা তাঁকে সমর্থন করে চেঁচিয়ে উঠলে, জোকোভিচ বলেন, ‘‘আমিও পাচ্ছিলাম।’’ তাঁর আরও কথা, ‘‘আমাকে বলা হল, টিভি দর্শকদের জন্য এটা করতে বাধ্য হয়েছে। আশা করি টিভির দর্শকেরা পরিষ্কার ভাবে খেলা দেখেছেন।’’
এ দিকে, অস্ট্রেলীয় ওপেনের সাত বারের চ্যাম্পিয়ন সেরিনা উইলিয়ামসের কাছে হেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ইউক্রেনের ডায়ানা ইয়াসত্রেমস্কা। চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ ৬-২, ৬-১ জিতে ডায়ানাকে বলে এলেন, ‘‘একদিন না একদিন তুমি ঠিকই পারবে। কেঁদো না।’’
সেরিনার সামনে এ বার বিশ্বের এক নম্বর মেয়ে সিমোনা হালেপ। যিনি চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছেন ভিনাসকে হারিয়ে।