জয়ের পর জোকোভিচের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।
নতুন কোচের অধীনে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। ভারতীয় বংশোদ্ভুত খেলোয়াড় নিশেষ বাসবরেড্ডির কাছে প্রথম সেট হেরেছিলেন। তবে অঘটন হল না। অনায়াসেই বাসবরেড্ডিকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেন তিনি। একই দিনে পরের রাউন্ডে গিয়েছেন কার্লোস আলকারাজ়, ইয়ানিক সিনার। তবে বিদায় নিয়েছেন স্টেফানোস চিচিপাস।
মেলবোর্নে ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ খেলতে নেমেছেন অ্যান্ডি মারের প্রশিক্ষণে। সেই মারে আগাগোড়া স্ট্যান্ডে বসে ছাত্রের ম্যাচ দেখলেন। পরামর্শ দিলেন মাঝেমাঝেই। তবু বাসবরেড্ডির কাছে প্রথম সেটে ৪-৬ গেমে হেরে গিয়েছিলেন জোকোভিচ। পরের তিনটি সেট ৬-৩, ৬-৪, ৬-২ গেমে জিতেছেন তিনি। প্রায় তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে মাঝেমাঝেই জোকোভিচকে হতাশ লেগেছে। তখন মারের দিকে তাকিয়েছেন। মারে শান্ত থাকতে বলছিলেন। জোকোভিচ আবার মন দেন খেলায়।
ম্যাচের পর সেই মারেরই প্রশংসা করেছেন জোকোভিচ। বলেছেন, “এখন আমরা প্রতিযোগিতার মধ্যে ঢুকে পড়েছি। ওকে পাশে পেয়ে দারুণ লাগছে। তবে কোর্টের বদলে বক্সে মারেকে দেখা একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। কারণ আমরা ২০ বছর একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছি। এখন নেটের এ পারে ওকে পেয়েছি। ম্যাচের মাঝে বেশ কিছু ভাল পরামর্শ দিয়েছে ও। এই প্রতিক্রিয়াটা খুব দরকার।”
রড লেভার অ্যারেনায় প্রথম বার খেলতে নেমেও চাপে পড়েননি বাসবরেড্ডি। তাঁর র্যাকেট থেকে এমন কিছু শট দেখা গিয়েছে, যা অবাক করেছে জোকোভিচকেও। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বরকে একটা সময়ে ভালই চাপে ফেলে দিয়েছিলেন বাসবরেড্ডি। তবে শারীরিক ধকলে এক সময় পিছিয়ে পড়তে থাকেন। মেডিক্যাল টাইম-আউটের পর আর পুরনো ফর্মে দেখা যায়নি বাসবরেড্ডিকে।
আলকারাজ় স্ট্রেট সেটে হারিয়েছেন আলেকাজ়ান্ডার শেভচেঙ্কোকে। জিতেছেন ৬-১, ৭-৫, ৬-১ গেমে। গোটা ম্যাচে ৩৭টি ‘উইনার’ মেরেছেন তিনি। তবে দ্বিতীয় সেটে ৩-১ এগিয়ে থাকার সময় আচমকাই ছন্দপতন হয় আলকারাজ়ের। গ্রাউন্ডস্ট্রোক খেলতে পারছিলেন না। শেভচেঙ্কো ৫-৩ এগিয়ে যান। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জেতেন আলকারাজ়।
এক নম্বর বাছাই সিনার ৭-৬, ৭-৬, ৬-১ হারিয়েছেন নিকোলাস জারিকে। তবে প্রথম দু’টি সেটই তাঁকে জিততে হয়েছে টাইব্রেকারে। ডোপিং বিতর্কের পর প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে নেমেছিলেন তিনি। শুরুতেই বিশ্বের ৩৬ নম্বর জারিকে খেলতে হয়েছে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে জিততে পেরে খুশি সিনার। বলেছেন, “খুব কঠিন একটা ম্যাচ জিতলাম। প্রথম দুটো সেট যে কোনও দিকে জেতে পারত। তৃতীয় সেটে জারিকে ব্রেক করার সময় কিছুটা শ্বাস নিতে পেরেছিলাম।”
তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় দিনেই অঘটন হয়েছে চিচিপাসের বিদায়ে। ২০২৩ সালের ফাইনালিস্টকে ৭-৫, ৩-৬, ৬-২, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন আলেক্স মিকেলসেন। সাহসী, নিয়ন্ত্রিত এবং আত্মবিশ্বাসী টেনিস খেলে জিতেছেন মিকেলসন। তাঁর ধারালো উইনারের জবাব ছিল না চিচিপাসের কাছে।
মেয়েদের বিভাগে এ দিন কোনও অঘটন হয়নি। দ্বিতীয় বাছাই ইগা শিয়নটেক ৬-৩, ৬-৪ হারিয়েছেন ক্যাটারিনা সিনিয়াকোভাকে। তৃতীয় বাছাই কোকো গফ ৬-৩, ৬-৩ হারিয়েছেন সোফিয়া কেনিনকে।