উল্লাস: প্যারিসে ফেডেরারের বিরুদ্ধে জিতে জোকোভিচ। রয়টার্স
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের সিংহাসনে ফেরা আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। এ বার প্যারিস মাস্টার্সে আরও একটা তৃপ্তি নিয়ে ফাইনালে চলে গেলেন নোভাক জোকোভিচ। তৃপ্তি রজার ফেডেরারকে হারানোর। শনিবার যে লড়াইয়ে জোকোভিচ ৭-৬ (৮-৬), ৫-৭, ৭-৬ (৭-৩) হারালেন সুইস মহাতারকাকে।
কোর্টে নামার আগে রজার ফেডেরার একপ্রস্ত হুমকিই দিয়ে রেখেছিলেন জোকোভিচকে। বলেছিলেন তিনি এই ম্যাচে ‘কিছু করতে প্রস্তুত’। জোকোভিচকে হারাতে যে তিনি কতটা মরিয়া হয়ে নেমেছিলেন সেটাই বোঝা যাচ্ছিল ফে়ডেরারের কথায়। ভক্তদের হতাশ করেননি ফে়ডেরার। হারলেও তুমুল লড়াইয়ে জোকোভিচকে এতটাই হতাশ করে দেন তিনি যে এক সময় সার্বিয়ান তারকা র্যাকেট আছড়ে ফেলেন। দর্শকরা যা ভাল ভাবে নেননি। কোর্ট থেকে জোকোভিচকে উদ্দেশ্য করে বিদ্রুপও শুরু হয় যায়। জোকোভিচ অবশ্য পরিস্থিতি সামলে নেন। র্যাকেট না ভাঙলেও নতুন র্যকেট নিয়ে ফের কোর্টে নামেন।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে জোকোভিচ বলে দেন, ‘‘আমার কেরিয়ারের রজারের বিরুদ্ধে অন্যতম সেরা লড়াই।’’ কনুইয়ের চোট থেকে ফিরে জোকোভিচ যে রকম ছন্দে আছেন তাঁকেই চার নম্বর প্যারিস মাস্টার্স খেতাব জয়ের দৌড়ে এগিয়ে রাখছেন ভক্তেরা। শুধু ফেডেরারকে হারানোই নয়, এই নিয়ে টানা ২২টি ম্যাচ অপরাজিত থাকার দৌড় ধরে রাখলেন তিনি। রবিবার ফাইনালে জিততে পারলে রাফায়েল নাদালের মতো তিনিও ৩৩ নম্বর মাস্টার্স খেতাব জিতবেন।
নাদাল প্রতিযোগিতার গোড়াতেই নাম তুলে নেওয়ায় এই ম্যাচ ঘিরেই যাবতীয় আগ্রহ ছিল সমর্থকদের। প্রথম সেটে ফেডেরার সেট পয়েন্ট হাতছাড়া করলেও দ্বিতীয় সেটে ফিরে আসেন। তৃতীয় সেটে ৪-৪ থাকার সময় দুটি ব্রেক পয়েন্ট পান জোকেভিচ। কিন্তু দুটি ব্রেকপয়েন্টের সুযোগই কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তখনই মেজাজ হারান চলতি সার্বিয়ান তারকা। এই নিয়ে ৪৭ বার মুখোমুখি হয়েছিলেন দু’জন। যার মধ্যে শেষ তিন বারই জোকোভিচ জেতেন। সব মিলিয়েও জোকোভিচ এগিয়ে ২৪-২২-এ।