উৎসব: রোলঁ গ্যারোজে কেক নিয়ে নাদাল। রবিবার। ছবি:টুইটার
ক্রমশ যেন সেই চেনা মেজাজে ফিরছেন নোভাক জোকোভিচ। কয়েক দিন আগেও যাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, টেনিস সে ভাবে উপভোগ করতে পারছেন না, সেই জোকোভিচ রবিবার রাফায়েল নাদালের দেশের ফের্নান্দো ভার্দাস্কোকে হারিয়ে ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলেন। পেলেন ক্লে-কোর্টে তাঁর দু’শোতম জয়।
২০১৬-য় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের পর থেকে গ্র্যান্ড স্ল্যামের যে পর্যায়ে ওঠা হয়নি জোকোভিচের, সেই সেমিফাইনাল থেকে আর এক ধাপ দূরে সার্বিয়ার এই তারকা। যেখানে তাঁর মুখোমুখি অবাছাই ইতালীয় মার্কো চেখিনাতো। বিশ্বের ন’নম্বর ডেভিড গফিনকে হারিয়ে তিনি রবিবার অঘটন ঘটালেন। যে কারণে অনেকেরই মনে হচ্ছে, ১২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবজয়ীর শেষ চারে ওঠার রাস্তা বেশ কিছুটা সহজ হয়ে গেল।
বিশ্বের ২২ নম্বর জোকোভিচ এ দিন যে পারফরম্যান্স দেখান, তাতেও অবশ্য এমন মনে হওয়াই স্বাভাবিক। ভার্দাস্কোকে ৬-৩, ৬-৪, ৬-২ হারাতে দু’ঘণ্টা ২৫ মিনিট নেন জোকোভিচ। ফের দেখা গেল তাঁর সেই জোরালো ফোরহ্যান্ড। যে ধারালো সার্ভিস বিশ্বসেরা করে তুলেছিল তাঁকে, সেই বিধ্বংসী সার্ভিসও এ দিন দেখা যায় জোকোভিচের র্যাকেটে। স্প্যানিশ প্রতিপক্ষকে প্রায় উড়িয়ে দেন তিনি।
জোকোভিচের জেতার দিন আর এক কিংবদন্তি নাদাল তাঁর ৩২তম জন্মদিন পালন করলেন। তবে অন্য রকম এক উপহারে। এই উপহার তিনি অবশ্য পাননি, দিলেন। রোলঁ গ্যারোজে এক বলবয়ের স্বপ্নপূরণ করে। যার স্বপ্ন ছিল অন্তত একবার বিশ্বের সেরা তারকার সঙ্গে খেলবেন। শনিবারই সেই স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেল তাঁর। চতুর্থ রাউন্ডে ওঠার পরে সেই বলবয়ের হাতে নিজেরই একটা র্যাকেট তুলে দেন নাদাল। টুইটারে সেই অভিজ্ঞতার ছবি পোস্ট করে নাদাল লেখেন, ‘‘শনিবার জেতার পরের সেই বিশেষ মুহূর্ত। আশা করি, সবার ভাল লেগেছে।’’ জন্মদিনটা অবশ্য সে ভাবে জাঁকজমক করে কাটাতে পারলেন না। কারণ, সোমবারই তাঁকে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ম্যাচে নামতে হবে। তার প্রস্তুতিতেই কাটল দিনের অনেকটা সময়। এক ফরাসি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে কেক কাটতে দেখা গেল তাঁকে। নাদাল টুইট করেন, ‘‘এখন প্রস্তুতির সময়। জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’’
সেই বলবয়ের মতো রবিবার আর একজনের স্বপ্ন সত্যি হল। তিনি জার্মানির নতুন প্রজন্মের টেনিস তারকা আলেকজান্দার জেরেভ। যিনি এই প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন। জেরেভ পরপর তিনটি ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছেন বলে অনেকে তাঁকে ‘কামব্যাক কিং’ বলে ডাকতে শুরু করেছে। শেষ তিন ম্যাচে ১৫ সেটে খেলেছেন তিনি। কোর্টে থেকেছেন প্রায় সাড়ে দশ ঘণ্টা। রবিবার রাশিয়ার কারেন খাচানভের বিরুদ্ধেও নাটকীয় জয় পান ২১ বছরের এই জার্মান। বিশ্বের তিন নম্বর জেতেন ৪-৬, ৭-৬ (৭-৪), ২-৬, ৬-৩, ৬-৩।