আইপিএলের প্রস্তুতির ফাঁকে বিরাট। টুইটার
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তিনি ক্রিকেট খেলতে গিয়েছেন। ছুটি কাটাতে নয়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলের ইউটিউব অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়ে দিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। পাশাপাশি, অতিমারির মাঝে ক্রিকেট খেলার সুযোগ মেলায় নিজেকে সৌভাগ্যবানও বলছেন তিনি।
পাশাপাশি, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিটি দলের ক্রিকেটার, প্রশিক্ষক, কর্তা ও কর্মীদের জৈব-সুরক্ষা প্রযুক্তির যাবতীয় নিয়ম মেনে চলতে বলছেন কোহালি। তাঁর কথায়, ‘‘অতিমারির জন্য গত কয়েক মাস খেলা হয়নি। তবে তার অভাব বোধ করিনি। কারণ গত ১০ বছর ধরে রোজ দিন-রাত ক্রিকেট নিয়েই ভেবে এসেছি। সেখান থেকেই আমার উপলব্ধি ক্রিকেট খেলায় মনোনিবেশ করাটাই সব কিছু নয়।’’ যোগ করেন, ‘‘আমরা এখানে প্রত্যেকে ক্রিকেট খেলতে এসেছি। মজা করতে বা ঘুরে বেড়াতে নয়। আমাদের কাছে সেই সময়টাই নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে সবাই চলেছেন। সৌভাগ্যবান হওয়ায় অতিমারির মধ্যে আইপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছি আমরা। কোনওরকম অবাঞ্ছিত পদক্ষেপ করা উচিত নয়।’’
ফের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গে বিরাটের মন্তব্য, ‘‘কয়েক মাস আগেও ভাবা যায়নি এ বার আইপিএল হবে। আগের দিন অনুশীলনে নামার সময় মনে হচ্ছিল, কত দিন নে্টে ব্যাট করিনি। শুরুতে চাপ অনুভব করছিলাম। পরে সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।’’
এসেছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলার প্রসঙ্গও। বিরাটের কথায়, ‘‘প্রথমে খুব কঠিন এবং অবিশ্বাস্য লাগছিল। কারণ, গত ১০ বছরে ব্যাটে বল লাগার প্রতিধ্বনি শুনিনি। শেষ বার এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল রঞ্জি ট্রফিতে। ক্রিকেট জীবনে কোনও না কোনও সময়ে এই অভিজ্ঞতা সকলের রয়েছে। খেলার মাঠে দর্শকের অবদান বিশাল। কিন্তু তাঁরা সাময়িক ভাবে প্রেরণা দেন।’’
সুরক্ষার কারণেই বিপক্ষের উইকেট পতনে বা জয় পেলে কিংবা ব্যাটে ভাল পারফরম্যান্স করলে এ বার দলবদ্ধ ভাবে আনন্দ করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ভারত ও আরসিবি অধিনায়ক বলছেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে ভারসাম্য জরুরি। এই নিয়ম মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও রাস্তা খোলা নেই।’’
বিরাটের মতোই আইপিএলের সৌজন্যে ফের মাঠে নামতে পেরে খুশি ভারতীয় টেস্ট দলের ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়ালও। যিনি প্রীতি জিন্টার দল কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
দুবাই থেকে সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘‘অনুশীলনে নামার সময়ে নিজের উপরে কোনও বড়সড় প্রত্যাশা রাখিনি। যেখানে শেষ করেছিলাম, সেই জায়গাতে ফেরাই লক্ষ্য।’’ যোগ করেছেন, ‘‘শারীরিক ভাবে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু দক্ষতার বিচারে, পুরনো ছন্দ পেতে গেলে আরও কয়েকটা সেশন লাগবে। ব্যাটিংয়ের ছন্দটা ফিরে পেলে, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমিরশাহির গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াও একটা বড় ব্যাপার।’’
দুবাইয়ে আসার পরে নিভৃতবাসে থাকার পরে তিন বার করোনা পরীক্ষা করিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই দল নিয়ে অনুশীলনে নেমেছে অনিল কুম্বলের প্রশিক্ষণাধীন কিংস ইলেভেন। খেলোয়াড় বা কর্মকর্তারা কেউ কারও ঘরে যাচ্ছেন না।