গোলের পর নর্থ-ইস্ট প্লেয়ারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: ফেসবুক।
নর্থ-ইস্ট ২ (সত্যাসেন সিংহ, কোফি রোমারিক)
দিল্লি ১ (মার্সেলো পেরেরা)
ঘরের মাঠে দিল্লিকে হারিয়ে কেরলকে সমস্যায় ফেলে দিল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। আগের দিনই কলকাতার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রেখেছিল কেরল ব্লাস্টার্স। কিন্তু বুধবার নর্থ-ইস্টের জয়ে কিছুটা চাপে মেহতাব, সন্দীপদের দল। নর্থ-ইস্টই প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। যদিও একাধিক সুযোগ নষ্ট হয় প্রথমার্ধে। কখনও রোমারিক তো কখনও ভেলেজ। গোল মিসের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললেন অনেকেই।
দ্বিতীয়ার্ধেই তিন গোল হল। দুই অর্ধেই পেনাল্টি হতে পারত। কিন্তু রেফারি কোনওটাই দেননি। ৬০ মিনিটে গোলের মুখ খোলেন নর্থ-ইস্টের সত্যাসেন সিংহ। জোকোরার পাস থেকে সহজেই গোল পেয়ে যান সিংহ। গোলকিপার বেরিয়ে আসায় সহজেই সেই বল গোলে পাঠান তিনি। ৭১ মিনিটে নর্থ-ইস্টের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন কোফি রোমারিক। তখনই লেখা হয়ে যায় নর্থ-ইস্টের জয়ের কাহিনী। কিন্তু শেষ বেলায় একটা চোবল মারার চেষ্টা করেছিল দিল্লি। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। যদিও আগেই সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি। তবুও ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগের মুহূর্তেই মার্সেলিনহোর গোলের ব্যবধান কমে। কিন্তু পয়েন্ট পাওয়ার আশা ততক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁর গোল হতেই শেষ হয়ে যায় খেলা। জিতে ভাল জায়গায় চলে গেলর নর্থ-ইস্ট। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নিঃশ্বাস ফেলছে কেরলেন ঘাড়ে। কেরলের পয়েন্ট ১৯। সেমিফাইনালে যেতে হলে আরও একটি ম্যাচ জিততে হবে নর্থ-ইস্টকে।
আরও খবর
কেরলের সঙ্গে ড্র করে সেমিফাইনালে কলকাতা