অ্যাজারের খেলা দেখে ড্রিবল পাঠ নেয় নায়ক

শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে ছয় জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে  বিস্ময় বালকের গোল দেখার পর দিল্লির অম্বেডকর স্টেডিয়ামে সতেরো বছরের ফুটবলারকে যখন ঘিরে ধরেছে মিডিয়া, তখন রীতিমতো হতচকিত মণিপুরের ছেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১২
Share:

সামনে বিপক্ষের ডিফেন্ডাররা পড়লে কী করতে হবে, মঙ্গলবারের চমকপ্রদ গোলের নায়ক নঙ্গাম্বা নাওরেম তা শিখেছে লিওনেল মেসিকে দেখে। আর ড্রিবল এবং গোল করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে টিভিতে এডেন অ্যাজারকে দেখে।

Advertisement

শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে ছয় জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বিস্ময় বালকের গোল দেখার পর দিল্লির অম্বেডকর স্টেডিয়ামে সতেরো বছরের ফুটবলারকে যখন ঘিরে ধরেছে মিডিয়া, তখন রীতিমতো হতচকিত মণিপুরের ছেলে। সাংবাদিকদের সামনে গোলের কথা বলতে গিয়ে তাঁর মুখ থেকে বেরোল, ‘‘আমি এডেন অ্যাজারের ড্রিবল আর গোল দেখতে ভালবাসি। সেটা শেখার চেষ্টা করি। সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়েছি। শিলংয়ের ছয় জন ডিফেন্ডারকে টপকে যাওয়ার পরে হঠাৎ দেখি সামনে ওদের গোলকিপার। তখনই মনে হল আমিও তা হলে গোল পেতে পারি। কিন্তু গোলটা যে এ রকম মর্যাদা পেয়ে যাবে ভাবিনি।’’

অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে পরিবর্ত হিসাবে নামতে হত তাকে। যুক্তরাষ্ট্র ও কলম্বিয়া ম্যাচে সে রকমই তাকে নামিয়েছিলেন ভারতের পর্তুগিজ কোচ। কিন্তু গোল পায়নি নাওরেম। আর ঘানা ম্যাচে শুরু থেকে নেমেও সফল হয়নি। ‘‘বিশ্বকাপে গোল করতে পারিনি। চেষ্টা করেছিলাম করার। তবে আজ যেটা শিলংয়ের বিরুদ্ধে করলাম সেটা আমার জীবনের সেরা গোল।’’ বলে দিয়েছে হঠাৎ-ই ভারতীয় ফুটবলের ক্যানভাসকে উজ্জ্বল করা নাওরেম।

Advertisement

ইম্ফলের ছেলে যখন শিলং-এর বক্সে বল নিয়ে এগোচ্ছিল তখন দু’জন বড় চেহারার বিদেশি ডিফেন্ডার পড়ে যায় সামনে। ভয় পাওনি? শুনে গোলের মতোই চমকে দিয়ে নাওরেমের জবাব, ‘‘লিওনেল মেসি এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। কী ভাবে সামনে ডিফেন্ডার পড়লে জায়গা ফাঁকা করতে হয় সেটা তো মেসি সবসময় দেখায়। আর ফুটবল বুদ্ধির খেলা। শক্তির খেলা নয়। গোলটা করার পথে তাই বিপক্ষ ফুটবলারদের থেকে বলটাকে দূরে রাখতে চেয়েছি।’’

আরও পড়ুন: ‘পুসকাস ট্রফির জন্য পাঠানো হোক ফিফায়’

আগের গোকুলম এফ সি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে আঠারো জনের দলে জায়গা হয়নি বলে খারাপ লেগেছিল, অকপটেই বলে দিয়েছে ডাকাবুকো নাওরেম। ‘‘আঠারো জনের দলেও নাম নেই দেখে খুব হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু পরে কোচের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে তা মেনেও নিয়েছি। এই ম্যাচের আগে ঠিক করেছিলাম সুযোগ পেলে কিছু একটা করবই। যাতে টিমে নিয়মিত থাকতে পারি।’’ শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে ৩-০ জেতার পর তার আরও মন্তব্য, ‘‘আমরা আগে ভেবেছিলাম আই লিগে এই টিম নিয়ে খেলা কঠিন। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের খেলার অভিজ্ঞতার পরে মনে হচ্ছে না আই লিগ খেলাটা তেমন কঠিন।’’ কয়েক মাস আগে জাতীয় জুনিয়র দলে সুযোগ পাওয়া মিডিও বলে দিল, ‘‘আমি যখন ড্রিবল করি তখন সব সময় বিপক্ষ ফুটবলারদের সামনে টেনে আনার চেষ্টা করি। যাতে আমার সতীর্থরা গোল করার বা বিপক্ষের বক্সে এগিয়ে যাওয়ার জায়গা পায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement