প্র্যাকটিসে এই লোগোয় এ বার দেখা যাচ্ছে না সনিদের।
মরসুমের শুরুতেই বড় ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলে!
চোটের জন্য কলকাতা লিগেই অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন টিমের মাঝমাঠের অন্যতম স্তম্ভ লালরিন্দিকা রালতে!
শুক্রবার কল্যাণীর আবাসিক শিবিরে ম্যাচ প্র্যাকটিসের সময় কাদা মাঠে পড়ে গিয়ে ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পান ডিকা। শনিবার এমআরআই রিপোর্ট দেখার পর ডিকার পায়ে প্লাস্টার করতে হয়। যা পরিস্থিতি তাতে লাল-হলুদের এই অ্যাটাকিং মিডিওর ছ’সপ্তাহের আগে মাঠে নামাই কঠিন। তার পর অনুশীলনে নেমে মাঠে কবে ফিরবেন কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। সম্ভবত আইএসএলেই তাঁকে খেলতে দেখা যাবে।
ডিকার চিকিৎসা করার পর ক্লাবের সহ-সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বললেন, ‘‘ওর যেখানে পুরনো চোট ছিল, তার ঠিক উপরে নতুন করে চোট লেগেছে। চার সপ্তাহ বাদে ওর প্লাস্টার কাটা হবে। তার পর দু’ সপ্তাহ রিহ্যাব করতে হবে। বুঝতে পারছি না লিগে খেলতে পারবে কি না।’’
ডার্বির পর দু’প্রধানের ফুটবলাররা আইএসএলের টিমগুলোতে যোগ দিতে চলে যাবেন। স্বভাবতই কলকাতা লিগে খেলার সম্ভাবনা কম মিজোরামের ডিকার। লাল-হলুদের সহ-সচিবের দাবি, ‘‘রিহ্যাবের পর কোন ফুটবলার কত তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরতে পারে, সেটা তাদের মনের জোরের উপর নির্ভর করে।’’ ডিকার চোট চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকেও। তবে মুখে তিনি বলছেন, ‘‘ফুটবলারদের চোট হবে, এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। ডিকার জায়গায় খেলার জন্য আরও অনেক ফুটবলারই রয়েছে। কোনও সমস্যা হবে না।’’
ঈদের জন্য মোহনবাগানে ছুটি থাকলেও, পুরোদমে আবাসিক শিবিরে অনুশীলন করিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ বিশ্বজিৎ। তবে মেহতাব হোসেন, রফিক, সামাদ আলিদের এক বেলার জন্য ছুটি দিয়েছিলেন তিনি। বিকেলের মধ্যেই অবশ্য তাঁরা আবাসিক শিবিরে যোগ দেন।
দু’বেলা অনুশীলনে ফুটবলারদের পুরো ফিট করে তোলাটাই প্রধান লক্ষ্য লাল-হলুদ কোচের। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলিয়ে সব ফুটবলারকে দেখে নিতে চাইছেন বিশ্বজিৎ। র্যান্টি মার্টিন্স এবং বেলো রজ্জাক ছাড়া ভিন রাজ্যের সব ফুটবলারই শিবিরে যোগ দিয়েছেন। একমাত্র ম্যানেজার কাম ফুটবলার অ্যালভিটো ডি’কুনহা স্ত্রী-র অসুস্থতার জন্য এখনও আসতে পারেননি। দুই নাইজিরিয়ান ফুটবলার কবে যোগ দেবেন টিমের সঙ্গে? বিশ্বজিৎ বললেন, ‘‘আমাকে বলা হয়েছে ওরা তাড়াতাড়ি চলে আসবে।’’ তবে ক্লাব সূত্রের খবর, র্যান্টিদের ভিসা সমস্যা এখনও মেটেনি। জুলাইয়ের শেষে বা অগস্টের শুরুতে সম্ভবত তাঁরা এসে পৌঁছবেন।
এ দিকে ট্রায়ালে না দেখে কোনও নতুন বিদেশিকেই নিতে রাজি নন মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন। তিনি বললেন, ‘‘আমি আগেই কর্তাদের বলে রেখেছি, যতই সিডি দেখি, মাঠে না দেখে বিদেশি ফুটবলার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব না। গুস্তাভোকে আমরা সবাই দেখে পছন্দ করেছি। ওকেও কলকাতা লিগে খেলিয়ে দেখে নেব।’’ তিনি আরও জানিয়ে দেন, ‘‘আমি যতদূর জানি কাতসুমি, সনি এবং গুস্তাভোর সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। বাকি কারও সঙ্গে এখনও কোনও চুক্তি হয়নি। অন্তত কর্তারা সেটাই আমাকে জানিয়েছেন।’’
রবিবার শিল্টন পাল, মণীশ ভার্গবদের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হবে। আরও তিন ভারতীয় ফুটবলার ট্রায়াল দিতে আসছেন। এ দিকে অনুশীলনে চমকপ্রদ একটি ঘটনা অনেকেরই চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। তা হল, শিল্টন পালদের জার্সিতে টিমের মূল স্পনসর ম্যাকডাওয়েলের কোনও লোগোই নেই। হঠাৎই উধাও হয়ে গিয়েছে তা। যে কোম্পানির নাম লেখা আছে তা এক কর্তার। জানা গিয়েছে, গত প্রায় ছ’মাস ধরে কর্তাদের অনেক দৌড়াদৌড়ির পরেও স্পনসরদের সঙ্গে সমস্যা মেটেনি। তাই নতুন মরসুমের প্র্যাকটিস জার্সিতে ম্যাকডাওয়েলের কোনও লোগোই নেই এ বার।
তিন সপ্তাহ পরেই কলকাতা লিগ শুরু। সেখানে কি মূল স্পনসরদের লোগো থাকবে? পুরী থেকে ফোনে ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র ধোঁয়াশা রেখে বলে দিলেন, ‘‘পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি। তার পর সিদ্ধান্ত নেব কবে লোগো লাগাব। ঠিক সময়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’’