প্রতীকী ছবি।
কলকাতার দুই প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানকে ছাড়াই ৬-২০ ডিসেম্বর আইএফএ শিল্ডের খেলা হবে কল্যাণী স্টেডিয়াম, রবীন্দ্র সরোবর, হাওড়া স্টেডিয়াম ও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। আই লিগের চার দল গোকুলম এফসি, ইন্ডিয়ান অ্যারোজ, সুদেবা এফসি এবং মহমেডানের সঙ্গে কলকাতা লিগের আটটি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হচ্ছে।
‘এ’ গ্রুপে মহমেডানের সঙ্গে রয়েছে খিদিরপুর এবং কালীঘাট এমএস, ‘বি’ গ্রুপে সুদেবা এফসি ও পিয়ারলেসের সঙ্গে রয়েছে এরিয়ান। ‘সি’ গ্রুপে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ এবং জর্জ টেলিগ্রাফের সঙ্গে রয়েছে সাদার্ন সমিতি। ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে গোকুলম, বিএসএস, ইউনাইটেড স্পোর্টস। প্রথম দিন রয়েছে খিদিরপুর বনাম মহমেডান, সুদেবা এফসি বনাম পিয়ারলেস, ইন্ডিয়ান অ্যারোজ বনাম সাদার্ন সমিতি এবং ইউনাইটেড স্পোর্টস বনাম গোকুলম ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে তিন লক্ষ টাকা। রানার্স দল পাবে ২ লক্ষ। প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার এবং কোচকে প্রয়াত চুনী গোস্বামী এবং প্রদীপ (পি কে) বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রফি দেওয়া হবে।
আইএফএ শিল্ডে কেন জৈব সুরক্ষা বলয় নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তারা তার কোনও সদুত্তর এখনও দিতে তো পারেননি। উল্টে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে আইএফএ কর্তারা মেজাজ হারাতে শুরু করেন। অদ্ভুত যুক্তি আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের, ‘‘হোটেলে থাকলেই করোনা সংক্রমণ হবে না কোথায় লেখা রয়েছে?’’ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্তের কথাতেও একই সুর। কোভিড পরিস্থিতিতে জৈব সুরক্ষা বলয় করে সর্বত্র ম্যাচ হচ্ছে। আইএফএ ব্যতিক্রম। সিএবি যে বাংলা টি-টোয়েন্টি লিগ করছে, সব ক্রিকেটারকে হোটেলে রেখে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছে। এই কলকাতাতেই কিছু দিন আগে আই লিগ হয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয় করে। তা হলে আইএফএ কেন করবে না?
অনেক দলের ফুটবলার, সদস্যরাই যে আতঙ্কিত থাকবেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তা সে প্রকাশ্যে তা কেউ স্বীকার করুক আর না করুক। কোনও হাবাস বা রবি ফাওলার আসবেন দল নিয়ে জৈব সুরক্ষা বলয় না থাকলে? শিল্ডে দুই বড় দলের অনুপস্থিতি এবং ফুটবলারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে যত্নবান না হওয়া বঙ্গ ফুটবল প্রশাসনের বর্তমান দুর্দশার ছবি তুলে ধরে।