Ranji Trophy

৮৭ বছরে প্রথম বার বন্ধ রঞ্জি ট্রফি, হতাশ অনুষ্টুপ-মনোজেরা

দীর্ঘদিন ধরেই রঞ্জি ট্রফি নিয়ে কথাবার্তা চলছিল বোর্ডকর্তা ও রাজ্য সংস্থাগুলির মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:৫৪
Share:

ফাইল চিত্র।

৮৭ বছরে এ বারই প্রথম বার বাতিল হল রঞ্জি ট্রফি। ভারতীয় বোর্ড প্রত্যেকটি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে ই-মেল মারফত জানিয়ে দিয়েছে, রঞ্জি ট্রফির মতো দীর্ঘমেয়াদি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিজয় হজ়ারে ট্রফি, মেয়েদের ওয়ান ডে প্রতিযোগিতা ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিনু মাঁকড় (ওয়ান ডে) ট্রফি আয়োজন করতে চলেছে বোর্ড।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরেই রঞ্জি ট্রফি নিয়ে কথাবার্তা চলছিল বোর্ডকর্তা ও রাজ্য সংস্থাগুলির মধ্যে। জানুয়ারির শেষে বৈঠকও হয় বিভিন্ন রাজ্য সংস্থা ও বোর্ডকর্তাদের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই বোর্ড ঠিক করেছে, রঞ্জি ট্রফি আয়োজন করার মতো পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে না।

জানুয়ারি মাসও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এপ্রিল থেকে আইপিএল আয়োজন করার কথা বোর্ডের। মাঝে যে দু’মাস সময় পাওয়া যাচ্ছে, তাতে তড়িঘড়ি রঞ্জি আয়োজন করার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তা ছাড়া আগামী মাস থেকেই শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। তার মাঝে রঞ্জি ট্রফি আয়োজন করা আরও কঠিন হয়ে যাবে। তাই বিজয় হজ়ারে ট্রফি আয়োজন করা বোর্ডের কাছে অনেকটাই সহজ। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির মতোই এক মাসের মধ্যে শেষ করে দেওয়া যাবে এই প্রতিযোগিতা।

Advertisement

ত্রয়ী: বিজয় হজারে ট্রফির জন্য প্রস্তুতিতে মুকেশ, ঈশান, আকাশ। সিএবি

প্রত্যেকটি রাজ্য সংস্থাকে ই-মেল মারফত বোর্ড সচিব জয় শাহ লিখেছেন, ‘‘বিজয় হজ়ারে ট্রফির সঙ্গেই মহিলাদের সিনিয়র ওয়ান ডে প্রতিযোগিতা ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিনু মাঁকড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চলেছে ভারতীয় বোর্ড। প্রত্যেকটি রাজ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘প্রত্যেকেই জানেন, আমাদের হাতে সময় অনেকটাই কম। সেই মতোই এ বারের ক্রিকেট সূচি তৈরি করা হয়েছে। তবে আইপিএলের পরে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি সুষ্ঠু ভাবে আয়োজন করতে পেরে আমরা সত্যি খুশি।’’

রঞ্জি ট্রফি না হওয়ায় সমস্যায় পড়বেন তরুণ ক্রিকেটারেরা। অনেকেই রঞ্জি ট্রফির মতো প্রতিযোগিতা খেলে সংসার চালাতেন। ম্যাচ প্রতি দেড় লক্ষ টাকা করে পেতেন প্রত্যেক ক্রিকেটার। বোর্ডের আলোচনায় যদিও ঠিক হয়েছে, ক্রিকেটারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাংলার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার বলছিলেন, ‘‘আর্থিক সঙ্কটে পড়তে পারে জুনিয়র ক্রিকেটারেরা। তবে বোর্ড যদি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে খুবই ভাল হয়।’’ বাংলার পেসার ঈশান পোড়েল যদিও হতাশ। বলছিলেন, ‘‘এ বার রঞ্জি ট্রফি হবে না জেনে আমিও হতাশ। তবে রঞ্জি আয়োজন করার মতো পর্যাপ্ত সময় আর কোথায়?’’ মনোজ তিওয়ারির মুখেও একই সুর। বলছিলেন, ‘‘রঞ্জি না হওয়ায় আমাদের দলের ছন্দ কিছুটা নষ্ট হতে পারে। গত বার ফাইনাল খেলায় দলের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে যে বিজয় হজ়ারে ট্রফি হচ্ছে, সেটাই অনেক।’’

বাংলার বাইরের ক্রিকেটারদের মধ্যেও রঞ্জি না হওয়ার হতাশা স্পষ্ট। এ বারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের আবিষ্কার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় বলছিলেন, ‘‘রঞ্জি ট্রফি থেকেই ক্রিকেটার উঠে আসে। তা এ বছরের মতো বাতিল হওয়ায় খারাপ তো লাগছেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement