স্মৃতি: দুবাইয়ে ২০১৪-র সেই আইপিএলে প্রীতি জিন্টা।
পরের বছরের আইপিএল ফের চলে যেতে পারে বিদেশে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে বলে নিজেদের তৈরি রাখছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
আগামী বছর আইপিএলের দ্বাদশ সংস্করণ হওয়ার কথা রয়েছে ২৯ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত। কিন্তু ভারতীয় বোর্ড কর্তারা এটাও জানেন যে, নির্বাচনের জন্য নিজেদের দেশে জনপ্রিয় এই প্রতিযোগিতা না-ও করা যেতে পারে। সেই কারণে বিকল্প রাস্তা ভেবে রাখা হচ্ছে।
বোর্ডের অনেক শীর্ষ কর্তা এখন কলকাতায় রয়েছেন আইসিসি বৈঠকের জন্য। নিজেদের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে এ নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁরা আলোচনা করেছেন। নির্বাচনের তারিখ কী হয়, তা দেখার অপেক্ষায় আছে ভারতীয় বোর্ড। তবে ধরে নেওয়া হচ্ছে, আইপিএলের সঙ্গে নির্বাচনের দিনক্ষণ মিলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্বের ধনীতম এবং সব চেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এর আগে দু’বার বিদেশে হয়েছে আইপিএল। এক বার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়, অন্য বার সংযুক্ত আমিরশাহিতে।
এ বারেও বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে এই দুই দেশের নাম উঠে এসেছে। তবে এ বি ডিভিলিয়ার্সের দেশে আইপিএল নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে সময়ের ব্যবধান এবং যাতায়াতের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ার জন্য। সে দিক দিয়ে দুবাই এবং তার কাছের মরু শহরগুলিতে প্রতিযোগিতা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমিরশাহির সঙ্গে ভারতে ম্যাচ সম্প্রচারের সেরা সময়ের মিল বেশি।
২০০৯ সালে গোটা আইপিএল করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০১৪-তে প্রথম ভাগ হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। এ বারে দু’রকম সম্ভাবনাই খোলা থাকছে। গোটা প্রতিযোগিতা চলে যেতে পারে বিদেশে। অথবা প্রথম ভাগ করতে হতে পারে বাইরে। এক বোর্ড কর্তা বলেছেন, ‘‘সব কিছু নির্ভর করছে নির্বাচনের তারিখ কী ঘোষণা হয়, তার ওপর। তবে আমরা বিকল্প কেন্দ্রে আইপিএল আয়োজন করার জন্য তৈরি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সময়ের সঙ্গে ভারতীয় সময়ের মিলটা দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বেশি।’’ সংযুক্ত আর আমিরশাহিতে দুবাই, শারজা এবং আবু ধাবি— তিনটি জায়গায় ক্রিকেট খেলা হয়। তবে অতীতে শারজায় নিয়মিত ভাবে ক্রিকেট খেললেও দাউদ ইব্রাহিমের উপস্থিতি এবং গড়াপেটার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সেখানে খেলা বন্ধ করে দিয়েছিল।
আগামী ৩১ মে লর্ডসে আইসিসি একাদশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচে খেলার জন্য ভারতীয় বোর্ড দীনেশ কার্তিক এবং হার্দিক পাণ্ড্যকে পাঠাচ্ছে। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে হারিকেনের দাপটে নষ্ট হওয়া স্টেডিয়ামের জন্য ত্রাণ তহবিল গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে আইসিসি। অর্থ সংগ্রহ করার জন্য আয়োজন করা হচ্ছে এই ম্যাচের। বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরি বুধবার জানান, হার্দিক এবং কার্তিককে পাঠানো হচ্ছে। পাকিস্তান থেকে শাহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক এবং শ্রীলঙ্কা থেকে থিসারা পেরেরা এই ম্যাচে খেলবেন। বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছেন শাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল।