কিছু না পেলেই নেপালকে ধরে আনো। এটা ফেডারেশনের পুরনো ছক। এ বারও তেমনই হল। ৭ মে লেবাননের সঙ্গে ফ্রেন্ডলি ভেস্তে যাওয়ার পর যোগাযোগ করা হল নেপালের সঙ্গে। ভারত-নেপাল সেই ফ্রেন্ডলি ম্যাচই হতে চলেছে ৬ জুন। লেবানন ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার ঠিক একমাস পর। মুম্বইয়ে আন্ধেরি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার মুখোমুখি হতে চলেছে দুই প্রতিবেশি দেশ। এর আগে মার্চে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি জিতে নিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রীরা। তার পরই এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের ম্যাচে মায়ানমারকে ৬৪ বছর পর হারায় ভারত। পর পর এই দুটো জয়ই ভারতীয় ফুটবল দলকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০০তে তুলে এনেছিল। ১৯৯৬-এর পর এই প্রথম।
আরও খবর: যৌন হেনস্তার অভিযোগ থিও হার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে
মঙ্গলবার নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচে উদান্ত সিংহকে পাচ্ছেন না কোচ কনস্টানটাইন। তাঁর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট। যদিও ভারতীয় ফুটবল দল এখন দারুণ ছন্দে রয়েছে। দলের সেরা মিডিও ইউজিনসন লিংডো বলেন, ‘‘দল মানসিকভাবে ভাল জায়গায় রয়েছে। অনেকদিন পর আমরা আবার দেশের জার্সিতে নামছি। নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটা কিরঘিজস্তান ম্যাচের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।’’ ঘরের মাঠেই খেলতে হবে কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধে। বেঙ্গালুরুতে কঠিন ম্যাচে নামার আগে একটি অনুশীলন ম্যাচ দরকার ছিল ভারতের। লিংডো বলেন, ‘‘আমরা অনেকদিন পর আবার এক সঙ্গে খেলব। যে কারণে এই ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। টিম কম্বিনেশন বুঝে নেওয়ার জন্য।’’
নেপালের বিরুদ্ধে সব সময়ই আত্মবিশ্বাসি ভারত। আর ভারতকে তাতাচ্ছে দুই দেশের মুখোমুখি হওয়ার ইতিহাস। গত ১৮ বছরে ভারত কখনও নেপালের কাছে হারেনি। ভারতের সঙ্গে সঙ্গে নেপালের জন্যও এএফসির যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের ম্যাচের আগে এটাই অনুশীলন ম্যাচ হিসেবে কাজ করবে। ১৩ জুন বেঙ্গালুরুতে কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধে নামবে ভারত।