নীরজ চোপড়া।
প্রথম ভারতীয় অ্যাথলিট হিসেবে শুক্রবার লুজ়ানে ডায়মন্ড লিগে সোনা জিতে, নীরজ চোপড়া জানালেন এই সাফল্য দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
২৪ বছর বয়সি নীরজ প্রথম প্রয়াসেই ৮৯.০৮ মিটার জ্যাভলিন ছোড়েন। যা তাঁকে সহজেই প্রথম স্থানে নিয়ে যায়। দ্বিতীয় স্থান পান জাকুব ভালদেই (৮৫.৮৮ মিটার)। নীরজের এই জয় তাঁকে ২০২৩ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ছাড়পত্রও এনে দেয়।
কুঁচকির চোট সারিয়ে ফিরে এই সোনা জিতে উচ্ছ্বসিত নীরজ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয়ের সময়ই চোট পেয়েছিলেন নীরজ। যে জন্য তিনি বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিতে পারেননি। ‘‘এই জয় দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। চোটের জন্য আমি কমনওয়েলথ গেমসে নামতে পারিনি। ভেবেছিলাম আমাকে হয়তো মরসুম শেষ করে ফেলতে হবে। কিন্তু খুব একটা ব্যথা হচ্ছিল না। তাই বিশ্বাস ছিল এই প্রতিযোগিতার আগে আমি সুস্থ হয়ে উঠতে পারব,’’ বলেছেন নীরজ।
নীরজ একই সঙ্গে ডায়মন্ড লিগ ফাইনালেও যোগ্যতা অর্জন করেছেন, যা হবে ৭-৮ সেপ্টেম্বর জ়ুরিখে। ‘‘মাত্র ১০ দিন সময় আছে। অতিরিক্ত পরিশ্রম করার সুযোগ নেই তাই। চোট না পেয়ে ইতিবাচক ভাবে মরসুম শেষ করাটাই এখন লক্ষ্য,’’ বলেছেন নীরজ। যাঁর ব্যক্তিগত সেরা থ্রো ৮৯.৯৪ মিটার। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত দারুণ গিয়েছে বছরটা। পাঁচটি প্রতিযোগিতায় ৮৯ মিটারের বেশি তিন বার থ্রো করতে পেরেছি। ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করেছি। এ বার জ়ুরিখেও দারুণ পারফর্মকরতে চাই।’’
৯০ মিটারের লক্ষ্য পূরণ করা নিয়ে প্রশ্ন করলে নীরজ বলেছেন, ‘‘সবাই ৯০ মিটার থ্রো নিয়ে জানতে চায়। যখন সময় হবে, সেই লক্ষ্যও পূরণ করব। এটা নিয়ে কোনও চাপ নিচ্ছি না।’’ নীরজ চান তাঁর মতো আরও ভারতীয় অ্যাথলিটরা সাফল্য পাক। ‘‘এই মঞ্চে আরও ভারতীয় অ্যাথলিটদের যোগ দিতে দেখলে আমি খুব খুশি হব। দেশের অ্যাথলিটদের সঙ্গে এই মঞ্চে যোগ দিতে পেরে আমারও দারণ আনন্দ হবে,’’ বলেছেন তিনি। যোগ করেছেন, ‘‘অবিনাশ সাবলে এবং শ্রীশঙ্করও এ বছর ডায়মন্ড লিগে খেলেছে। তাই আমাদের দেশের অ্যাথলিটরাও ধীরে ধীরে একটা জায়গায় উঠে আসছে। আমরা যদি ভাল পারফর্ম করতে পারি এখানে তা হলে বড় মঞ্চে ভারতীয় খেলোয়াড়দের অনেক সুবিধে হবে।’’