ঝাড়গ্রামে মোটর র্যালির মহড়া। দেবরাজ ঘোষের তোলা ছবি।
জাতীয় স্তরের র্যালির আসর বসছে জঙ্গলমহলে। আজ, শুক্র ও কাল, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়িতে হবে এই ‘ইন্ডিয়ান মোটর র্যালি’। বেলপাহাড়ির শিয়াড়বিন্ধা থেকে কাঁকড়াঝোরের পাহাড়ি জঙ্গলপথে হবে এই র্যালি।
ইন্ডিয়ান মোটর র্যালি চ্যাম্পিয়নশিপের এটি ‘রাউন্ড ফোর’। এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ডের র্যালি গুলি যথাক্রমে নাসিক, কোয়েম্বত্তূর ও চেন্নাইয়ে হয়ে গিয়েছে। জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়িতে চতুর্থ রাউন্ড হচ্ছে। এরপর পঞ্চম ও ষষ্ঠ রাউন্ড হবে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু ও চিকমাগালুরে। ‘ফেডারেশন অফ মোটর স্পোটস্ ক্লাবস্ অফ ইন্ডিয়া, চেন্নাই’-এর সহযোগিতায় এই র্যালির আয়োজন করেছে ‘রামকৃষ্ণ রেস পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা। জঙ্গলমহলে এ ধরনের র্যালি এই প্রথম। র্যালিতে থাকছে মারুতি ব্যালেনো, মিতসুবিসি সিবিয়া, মাহেন্দ্রা এক্সইউভি-৫০০ মতো গাড়ি। মারুতি এস্টিম গাড়ি এখন র্যালিতে সচরাচর দেখা যায় না। এবার দুর্গাপুরের দি মিশন হাসপাতালের তরফে এই র্যালিতে একমাত্র মারুতি এস্টিম গাড়িটি অংশ নিচ্ছে। ওই গাড়ির প্রতিযোগী-চালক অর্জুন ঘোষ বলেন, “আগামী দিনে হয়তো র্যালিতে আর এস্টিম গাড়ি দেখা যাবে না। তাই র্যালিতে এমন গাড়ির প্রতিযোগী-চালক হিসেবে অংশ নিতে পেরে ভীষণই ভাল লাগছে।”
বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের এমপিএস রিসর্টে এক সাংবাদিক বৈঠকে আয়োজক সংস্থার তরফে জানানো হয়, বেলপাহাড়ির শিয়াড়বিন্ধা থেকে কাঁকড়াঝোর পর্যন্ত দু’টি রুটে র্যালিতে অংশ নেবে ১৮টি গাড়ি। একটি রুটে প্রায় ১৭ কিমি ও আর একটি রুটে প্রায় ১৪ কিমি জঙ্গলপথে এই র্যালি হবে। আয়োজক সংস্থার অধিকর্তা অরিন্দম ঘোষ জানান, এর আগে এ রাজ্যে এ ধরনের র্যালি মূলত দুর্গাপুরে হতো। এ বার চতুর্থ রাউন্ডের জন্য জঙ্গলমহলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এখানকার পাহাড়ি রাস্তা র্যালির পক্ষে একেবারে আদর্শ। আয়োজক সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ ও সিআরপি বাহিনী র্যালির যাত্রাপথটিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক র্যালি চ্যাম্পিয়ান গৌরব গিল, ন্যাশনাল র্যালি চ্যাম্পিয়ন অমিত্রজিৎ ঘোষের মতো চালকেরা। মাওবাদী এলাকায় র্যালি করা কতটা নিরাপদ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে হালকা মেজাজে অমিত্রজিৎ ঘোষ বলেন, “মাওবাদী বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনের এক্তিয়ারে। আমরা এ নিয়ে চিন্তিত নই। আমার মনে হয় আমরা জঙ্গলপথে গাড়ি চালালে, ওরাও (মাওবাদী) দেখবে।”