প্রতিদ্বন্দ্বী: ফেডেরারকেই এগিয়ে রাখছেন নাদাল। ফাইল চিত্র
ক্লে কোর্টে জন ম্যাকেনরোর টানা সেট জয়ের রেকর্ড ভাঙার পরে মাদ্রিদ ওপেন থেকে রাফায়েল নাদালের বিদায়টা অপ্রত্যাশিত।
বিশেষ করে বার্সেলোনা ওপেন আর মন্টি কার্লোতে যে দাপট দেখিয়ে খেলছিলেন, তাতে মাদ্রিদেও তাঁকে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ধরে নিয়েছিলেন টেনিস পণ্ডিতেরা। কিন্তু সব হিসেব উল্টে দিয়ে অস্ট্রিয়ার দমিনিক থিম তাঁকে থামিয়ে দেন। ফলশ্রুতি বিশ্ব ক্রমতালিকার এক নম্বর জায়গাটাও হাতছাড়া হল স্পেনীয় মহাতারকার।
নাদাল নিজে যদিও সিংহাসন হারানোর ঘটনা বা দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তবে ফেডেরারের সঙ্গে তাঁর তুলনা নিয়ে নানা আলোচনা যেন নতুন করে শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং সেটা শুরু করেছেন খুয়ান মার্তিন দেল পোত্রো। আপাতত তুলনাটা হচ্ছে কার ফোরহ্যান্ড বেশি ভাল, সেটা নিয়ে। লিয়োনেল মেসির দেশের টেনিস তারকা দেল পোত্রোর ভোট পেয়েছেন ফেডেরারই।
কিন্তু নাদাল নিজে কী ভাবছেন?
স্পেনের এক সংবাদ মাধ্যমে নাদালের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কার ফোরহ্যান্ড বেশি ভাল বলাটা বেশ কঠিন। এমনিতে এটা ঘটনা যে ট্যুরে যারা খেলছে তাদের অনেকের থেকে আমি বা রজার ফোরহ্যান্ডটা বেশি ভাল মারি। আর আমাদের দু’জনের মধ্যে কে এগিয়ে বিচার করতে বসলে মনে হয় ক্লে কোর্টে আমিই এগিয়ে থাকব। কিন্তু একই সঙ্গে স্বীকার করতেই হবে যে, ঘাস বা হার্ড কোর্টে ফেডেরার আমার চেয়ে ভাল।’’
নাদাল সঙ্গে মজা করে যোগ করেছেন, ‘‘জানি খুয়ানই এই তুলনাটা শুরু করেছে। আমার কিন্তু মনে হয়, ওর নিজেরও ফোরহ্যান্ড দারুণ। সেটা ও নিজেও জানে বলেই হয়তো প্রসঙ্গটা তুলেছে। কিন্তু আমাদের দু’জনের মধ্যে এক জনকে বাছার দায়িত্ব দেওয়া হলে আমি অবশ্যই রজারকে এগিয়ে রাখব।’’
সম্প্রতি ফেডেরারের এই মরসুমে ক্লে কোর্টে না খেলা নিয়ে নাদাল এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তাঁর কথা ছিল, ‘‘মনে হয় আমার সঙ্গে খেলতে হবে বলেই ও ক্লে কোর্টে খেলছে না। ও ভাল করেই জানে, আমি আমার প্রিয় সারফেসে ওকে হারাবই।’’ নাদাল অবশ্য পরে বলেন যে এটা নিছকই মজা করে তিনি বলেছিলেন।
কিন্তু সুইস মহাতারকা কথাটা খুব সহজ ভাবে নেননি। সেটা স্পষ্ট হয়েছিল তাঁর জবাবেই। ফেডেরার বলেছিলেন, ‘‘মনে রাখবেন, আমার বয়স ৩৬। এই বয়সে রাফার মতো সব প্রতিযোগিতায় খেলে যাওয়া সম্ভব নয়। আমার বয়সে এসে ও নিজেও হয়তো সেটাই করবে। তা ছাড়া ক্লে কোর্টে কোনও কালেই আমি স্বচ্ছন্দ নই। এর মধ্যে লুকোছাপার কিছু নেই। চিরকালই ঘাসে খেলতে ভাল লাগে। সঙ্গে অবশ্যই হার্ড কোর্টেও।’’