বিজয় হজারে ট্রফিতে এ ভাবেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন পৃথ্বী। ফাইল চিত্র
অস্ট্রেলিয়া সফরের দুঃস্বপ্ন এখন অতীত। ব্যাটিং তাণ্ডবের উপর ভর করে স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন পৃথ্বী শ। সেটা সদ্য সমাপ্ত বিজয় হজারে ট্রফিতে দেখা গিয়েছে। এমনটাই মনে করেন মুম্বইয়ের প্রধান প্রশিক্ষক রমেশ পওয়ার। তাঁর মতে এই ছন্দ ধরে রাখলে পৃথ্বী আবার জাতীয় দলে ফিরে আসবেন।
বিজয় হজারে ট্রফিতে ৮ ম্যাচে সর্বাধিক ৮২৭ রান করেন তিনি। গড় ১৬৫.৪০। সঙ্গে ছিল ৪টি শতরান ও ১টি অর্ধ শতরান। একটি বিজয় হজারে ট্রফিতে ৮০০ রান করার কৃতিত্ব আর কারোর নেই। তাই ভারতের প্রাক্তন অফ স্পিনার বলেন, “মুম্বইয়ের অনুশীলনে শুরুর দিকে ওর ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাস ছিল না। সেটা নিয়ে তখন ওর সঙ্গে কথাও বলেছিলাম। এরপর বিজয় হজারে খেলতে গিয়েও সেই একই সমস্যা ধরা পড়ল। তবে পৃথ্বী খুবই বুদ্ধিমান। তাই দ্রুত ওর ভুলগুলো মেরামত করে নিয়েছে। সেটা তো বিজয় হজারে ট্রফিতে সবাই দেখেছে। আমি শুধু অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছি। আসলে পৃথ্বী নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই গত প্রতিযোগিতার একাধিক ম্যাচে বড় রান করেছে। আমার ধারণা গত অস্ট্রেলিয়া সফরের দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে ও খুব দ্রুত জাতীয় দলে ফিরে আসবে।”
রানে ফেরার জন্য নিজেকে একেবারে আলাদা করে নিয়েছিলেন পৃথ্বী। আলাদা ভাবে ব্যাটিং চর্চা করতেন। নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য বেশিরভাগ সময় নেটে সময় কাটাতেন। সময় বের করে দেখতেন নিজের পুরনো ইনিংসের ভিডিয়ো। সেই বিষয়গুলো তুলে ধরলেন রমেশ পওয়ার। সেই প্রসঙ্গ আসতেই তিনি বলেন, “মাঠ ও মাঠের বাইরে পৃথ্বী সবসময় লড়াই করতে ভালবাসে। এটা ওর ছোট বেলার স্বভাব। ঘরবন্দি থাকার সময় নিজের পুরনো ব্যাটিংয়ের ভিডিয়ো দেখার পাশাপাশি ফিটনেসের জন্যও খাটাখাটনি করত। এরপর নেটে গিয়ে সজোরে আসা বলগুলো নিজের শরীরের কাছে খেলতে শুরু করল। একই সঙ্গে রক্ষণের উপরে জোর দিয়েছিল পৃথ্বী। তাই পুরো প্রতিযোগিতায় ও এত সহজে রান করল। কারণ পৃথ্বীর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলেও ওর রক্ষণে কিছু ভুল ছিল। সেটা মেরামত করার পরেই এল সাফল্য।”
২০১৮ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টে শতরান করেন পৃথ্বী। তবে এরপর ধারাবাহিকতা দেখাতেব্যর্থ হয়েছিলেন। মাঝের কয়েকটা বছর একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিসিসিআই থেকে নির্বাসিতও হয়েছিলেন এই ডানহাতি। এর সঙ্গে যুক্ত হল গত অস্ট্রেলিয়া সফরের অ্যাডিলেড টেস্টে ০ ও ৪ রান। ফলে দল থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু দেশে ফিরে ভুল শুধরে বিজয় হজারে ট্রফিতে পেলেন সাফল্য। কারণ তিনি জাতীয় দলে আবার প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন।