রঞ্জি ট্রফিতে ৪১ বারের চ্যাম্পিয়ন। চলতি মরসুমে বিজয় হজারে ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন। সুনীল গাওস্কর, সচিন তেন্ডুলকরদের সেই মুম্বই এ বারের রঞ্জি ট্রফি থেকে ছিটকে গেল গত বছরের চ্যাম্পিয়ন বিদর্ভের কাছে ইনিংস এবং ১৪৫ রানে। তাও আবার এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ না জিতেই।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি মুম্বইয়ের তৃতীয় বৃহত্তম ইনিংসে হার। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে গেলে এই ম্যাচে জিততেই হত মুম্বইকে। সেখানে বিদর্ভের সামনে দুই ইনিংসেই মুখ থুবড়ে পড়ে মুম্বইয়ের ব্যাটিং। বোনাস পয়েন্ট-সহ ম্যাচ জিতে রঞ্জি ট্রফির এলিট গ্রুপে ‘এ’ বিভাগে শীর্ষেই রইল বিদর্ভ। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৮। অন্য দিকে, ৭ ম্যাচে মুম্বইয়ের পয়েন্ট ১১। গ্রুপের খেলায় এখনও ছত্তীসগঢ়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ রয়েছে মুম্বইয়ের। তবে জিতলেও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই মুম্বইয়ের। কারণ ‘এ’ ও ‘বি’ বিভাগ থেকে পয়েন্টের বিচারে সেরা পাঁচটি দলই কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে।
নাগপুরে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫১১ রানে ইনিংস শেষ হয়েছিল বিদর্ভের। যার মধ্যে ১৭৮ রান করেছিলেন মুম্বইয়েরই প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফর। জবাবে মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৫২ রানে। বিদর্ভ ফলো অন করিয়ে ফের মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠালে এ বার মুম্বইয়ের ইনিংস শেষ হয় ১১৪ রানে। দুই ইনিংস মিলিয়ে মুম্বই ইনিংস স্থায়ী ছিল ১১৩.৩ ওভার।
মুম্বইয়ের ইনিংসে ধুর্মিল মাটকর (৬২ ন.আ) ছাড়া নিচের দিকের ব্যাটসম্যানই বিদর্ভের বোলিং আক্রমণের মোকাবিলা করতে পারেননি। ৮৫ রানে পাঁচ উইকেট নেন বিদর্ভের অফস্পিনার অক্ষয় ওয়াখারে। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বই ব্যাটসম্যানদের ত্রাস হয়ে ওঠেন বাঁ হাতি স্পিনার আদিত্য সারওয়াতে। ৪৮ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও মুম্বইয়ের হয়ে মাটকর ৩৬ রান করলেও বাকি ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতে পারেননি। কেউই রান পাননি। ম্যাচের সেরা ওয়াসিম জাফর।
জয়ী পঞ্জাব: চণ্ডীগড়ে কেরলকে ১০ উইকেটে হারাল প়ঞ্জাব। এই জয়ের ফলে সাত পয়েন্ট নিয়ে এলিট গ্রুপের ‘বি’ বিভাগে চার নম্বরে উঠে এল পঞ্জাব। সাত ম্যাচের পরে দুই দলেরই পয়েন্ট ২০। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে শেষ ম্যাচে বাংলাকে হারাতে হবে পঞ্জাবকে। প্রথম ইনিংসে ১২১ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল কেরল। জবাবে পঞ্জাব করে ২১৭। দ্বিতীয় ইনিংসে কেরল করে ২২৩ রান। জবাবে পঞ্জাবের জীবনজ্যোত সিংহ (৪৮ ন.আ) ও শুভমান গিল (৬৯ ন.আ) জয়ের রান তুলে দেন।
জিতল বরোদা: দিল্লিতে রেলওয়েজকে ১৬৪ রানে হারাল বরোদা। তাদের হয়ে দুই ইনিংসেই দুরন্ত খেললেন অলরাউন্ডার ক্রুনাল পাণ্ড্য। রেলের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই শতরান করেন তিনি। বল হাতেও প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পরে, দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় ওভার বল করে ১৯ রানে ২ উইকেট নেন ক্রুনাল।
মেঘালয়ের ৮২৬: সিকিমের বিরুদ্ধে সাত উইকেটে ৮২৬ রান তুলে ডিক্লেয়ার করল মেঘালয়। প্রথম ইনিংসে সিকিমের ইনিংস শেষ হয় ২১৯ রানে। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে সিকিমের রান ৭২-২।