জীবনে কত রকমের বিপরীতমুখী ঘটনাই না ঘটে!
আঙুর ফল টকে যাওয়া, সাঁতারুর ডুবে যাওয়া, দেখতে নিরীহ শান্ত সাপের হঠাৎ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা, সুন্দর ময়ূরের কর্কশ গলার স্বর, সদাসিক্ত মেঘালয়ে জলের অভাবের মতো কত বিপরীতমুখী ঘটনাই না ঘটে।
ক্রিকেটে সে রকমই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিম। যে টিমে ট্যালেন্ট, ব্যাটিং গভীরতার অভাব নেই। দু’বার তাদের অধিনায়কের কাঁধে চড়ে এই টিমটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কখনও কখনও সেটাও যথেষ্ট বলে মনে হয় না!
শনিবার রাতে যেমন দেখলাম। ফুটবলের পরিভাষায় বলতে গেলে দিল্লির বিরুদ্ধে একপ্রকার আত্মঘাতী গোল হজম করল মুম্বই। রোহিত শর্মা নিজের সাধ্যমতো যে চেষ্টা করেনি তা নয়। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট হয়ে দাঁড়ায়নি। আসলে এই টিমটার মধ্যে যে বিষয়ের অভাব দেখছি তা হল ধারাবাহিকতা।
বিশ্লেষণ করে যা বেরিয়ে আসছে তার ভিত্তিতে মনে হয়, ওপেনিংয়ে পার্থিব প্যাটেল আর রোহিত শর্মা ঠিক মানানসই জুটি হয়ে উঠতে পারেনি। পার্থিব এখনও জ্বলে ওঠেনি। সমস্যাটাও ঠিক এখানেই। এ বারের আইপিএলে বেশির ভাগ টিমই কিন্তু ওপেনিং জুটিতে টিমের পেসটা ঠিক করে নিচ্ছে। গম্ভীর-উথাপ্পা, ওয়ার্নার-ধবন, ফিঞ্চ-ম্যাকালাম সেই কাজটাই করে যাচ্ছে ম্যাচের পর ম্যাচ। আসলে লেন্ডল সিমন্সের চোটটাই মুম্বইকে আসল ধাক্কা দিয়েছে। তরুণ হার্দিক পাণ্ড্যকে উপরের দিকে তুলে আনা যেত। কিন্তু পরপর তিন ম্যাচে ব্যর্থতার পরে সেই পরিকল্পনাও প্রয়োগ করা যায়নি। বাটলার, পোলার্ডও এখনও সেই ছন্দ পায়নি। সেক্ষেত্রে ওপেনিংয়ে গাপ্টিল আর গ্লাভস হাতে বাটলার একটা দাওয়াই হতে পারে।
সোমবার মুম্বইয়ের প্রতিপক্ষ কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব। যারা ঠিক একই রকম ভাবে সাধারণমানের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে কয়েকটা ম্যাচ হেরেছে ইতিমধ্যে। মিলার আর ম্যাক্সওয়েল আতসবাজি জ্বালাতে পারছে না। আর ওদের জাহাজেরও যেন ডোবার জোগাড়।
এই পরিস্থিতিতে আশা করা যায়, মুম্বই এ বার ঘুরে দাঁড়াবে। এও আশা করা যায়, ওর টিমের থেকে রোহিত দুর্দান্ত সহযোগিতা পাবে।