গোলের পর মুম্বই ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: আইএসএল সৌজন্যে।
দু-গোল আর দু’লের দু’জনকে লাল কার্ড, প্রথম ৪৫ মিনিটেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গিওন ফেরনানদেজ যখন ৬ গজের বক্সে বল পেয়েও ফাঁকা গোলে বল রাখতে ব্যর্থ হন, তখনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, টানা ৬ ম্যাচ হারতে চলেছে দিল্লি ডায়নামোস।
এর ঠিক মিনিট দুই পরই থিয়াগো সানতোসের গোল নিশ্চিত করে দেয় মুম্বইয়ের পক্ষে ম্যাচের ভাগ্য। এই ম্যাচ জেতার ফলে ৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল আলেকজান্দ্রে গিমারায়েসের মু্ম্বই সিটি এফসি।
বলবন্ত সিংয়ের গোলটা নতুন বছরের আগাম উপহার মুম্বইয়ের সমর্থকদের কাছে।
আগের ম্যাচগুলির মতো এই ম্যাচেও দিল্লির সমস্যাও একই। গোল করতে না-পারা। একই সঙ্গে নিয়মিত ব্যবধানে গোল খাওয়াও।
আরও পড়ুন: ১০ জনের অ্যারোজকেও হারাতে পারল না মোহনবাগান
আরও পড়ুন: দলের খেলায় ক্রুদ্ধ সঞ্জয়, তৃপ্তির হাসি মাতোসের মুখে
প্রথম গোলের আগে যেমন, পেছন থেকে আসা বল এভেরতোন সানতোস ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন। বিপদ বুঝে এগিয়ে এসেছিলেন দিল্লির গোলরক্ষক অর্ণব দাসশর্মা। শেষ মুহূর্তে এভেরতোনের পায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অর্ণব। বল এভেরতোনের পা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় অর্ণবের হাত লাগে ব্রাজিলীয় ফুটবলারের পায়ে। পেনাল্টি বক্সে পড়ে যান এভেরতোন। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টি দেয় রেফারি।
এমন সুযোগ কোনও ফরোয়ার্ড হাতছাড়া করেন না। চতুর্থ আইএসএল-এ চতুর্দশ পেনাল্টি। কিন্তু বল গোলে ঠেলতে ভুল করেন এভেরতোন। বল পোস্ট লেগে ফিরে আসে। তবে, গোল পেতে সমস্য হয়নি মুম্বইয়ের। মুম্বইয়ের অধিনায়ক লুসিয়ান গোইয়ান তৈরি ছিলেন। ফিরতি বলে শট নেন তিনি। অর্ণবের পায়ে লেগে গোইয়ানের নেওয়া শট জড়িয়ে যায় জালে।
দ্বিতীয় গোলের সময় দেখা গেল এমানা-এভেরতোন জুটির ঝলকানি। ফ্রি কিক থেকে এমানার ভাসানো বল থেকে গোল করতে ভুল করেননি এভেরতোন। গোলরক্ষক অর্ণব নড়ার আগেই বল জালে। সেট পিস থেকে আদর্শ গোলের উদাহরন রেখে গেল এই গোল।