আউট হওযার পর ধোনি। শনিবার সিডনিতে। ছবি: এএফপি।
ভারতের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে দশ হাজার রান পূর্ণ করলেও মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে নিলেন ৯৩ বল। যা তাঁর ওয়ানডে কেরিয়ারের দ্বিতীয় মন্থরতম।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার স্টেডিয়ামের শেষবার একদিনের ক্রিকেটে পঞ্চাশ করেছিলেন ধোনি। সেই ম্যাচে ৮৭ বলে ৬৫ করেছিলেন তিনি। কিন্তু, ২০১৮ সালে কোনও পঞ্চাশ আসেনি তাঁর ব্যাটে। সর্বাধিক ছিল ৪২ নট আউট। সিডনিতে নতুন বছরের প্রথম একদিনের ম্যাচে ধোনি পৌঁছলেন পঞ্চাশে। যা তাঁর কেরিয়ারের ৬৮তম অর্ধশতরান।
তবে তা এল ৯৩ বলে। এর আগে ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নর্থ সাউন্ডে ১০৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন ধোনি। সেটাই তাঁর একদিনের কেরিয়ারের মন্থরতম পঞ্চাশ। শনিবার সিডনিতে ধোনি শেষ পর্যন্ত করলেন ৫১। খেললেন ৯৬ বল। মারলেন তিন বাউন্ডারি ও এক ওভার-বাউন্ডারি। স্ট্রাইকরেট ৫৩.১২।
আরও পড়ুন: স্পনসর হারালেন হার্দিক, বিশ্বকাপেও দলে না রাখার ইঙ্গিত ডায়নার
আরও পড়ুন: সিডনিতে শনিবার ভারতের প্রথম বাউন্ডারি এল ২০ ওভারেরও পরে!
এটা ঠিক যে চার রানে তিন উইকেট পড়ার পর পাঁচ নম্বরে ক্রিজে এসেছিলেন ধোনি। গত নয় বছরে এই প্রথমবার চতুর্থ ওভারে ক্রিজে এসেছিলেন তিনি। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষবার তাঁকে চার ওভারের মধ্যে নামতে হয়েছিল ব্যাট হাতে। তখন প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ইনিংস গড়াই বেশি জরুরি ছিল। রোহিত শর্মার সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৩৭ রান যোগ করে লড়াইয়ে ফেরত এনেছিলেন দলকে। তবে তার পরও উঠছে প্রশ্ন। এত ডট বল তিনি খেলছেন কেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে চর্চা। বাউন্ডারি মারার ক্ষমতা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। কয়েক মাস পরেই বিশ্বকাপ। সেখানে ভারতের মিডল অর্ডার শুরুর ধাক্কা সামলাতে কতটা দক্ষ, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল ভারত-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ওয়ানডে।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল ,টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)