চর্চায়: টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হার। ফের তর্ক ধোনির সিদ্ধান্ত নিয়ে। ফাইল চিত্র
প্রথম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে জয়। তার পরের দুই ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস (১৬ রানে) এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের (৪৪ রানে) বিরুদ্ধে হেরে চাপ বেড়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরে।
অন্য দিকে, পর পর দুই ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ও সিএসকের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস শিবির খুশিতে ভাসছে তাদের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স নিয়ে।
সিএসকে অধিনায়ক ধোনি যদিও পর পর দু’ম্যাচে হারের কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে অম্বাতি রায়ডুর দলের বাইরে চলে যাওয়াকে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হেরে ধোনির প্রতিক্রিয়া, ‘‘ম্যাচটা মোটেও ভাল খেলিনি আমরা। পিচে শিশির পড়েনি। কিন্তু তা সত্বেও উইকেট মন্থর ছিল। ব্যাটিংয়ের চেনা ছন্দটা পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফল ভুগতে হচ্ছে। শুরুতে রান তোলার গতি মন্থর থাকায় পরের দিকে রান রাট বাড়ছে। ফলে শেষের দিকে চাপও বাড়ছে ব্যাটসম্যানেদের উপরে। এই সমস্যার সমাধান করতে হবে দ্রুত।’’ যোগ করেছেন, ‘‘দলের সঠিক কম্বিনেশন নিয়ে একটা পরিস্কার চিত্র দরকার। আশা করি, পরের ম্যাচে রায়ডু দলে ফিরবে। ও দলে এলে ভারসাম্য ঠিক থাকবে।’’
প্রথম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৪৮ বলে ৭১ রান করেছিলেন রায়ডু। কিন্তু তার পরে চোটের কারণে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ধোনি আরও বলেন, ‘‘রায়ডু ফিরলে একজন অতিরিক্ত বোলার খেলিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জায়গা মিলবে।’’ পাশাপাশি দলের বোলারদের দুর্বলতা নিয়ে সিএসকে অধিনায়ক বলেন, ‘‘বোলারদের লাইন, লেংথ ও গতি ঠিক রাখতে হবে। স্পিনারেরা এখনও সেরা ছন্দ পায়নি। আমরা ভাল বল করলেও বিপক্ষের চার-ছক্কার সংখ্যা বাড়ছে।’’ সিএসকে কোচ স্টিভন ফ্লেমিংও পর পর দুই হারের পরে সতর্ক হতে বলেছেন স্পিনারদের। তাঁর কথায়, ‘‘পর পর দু’ম্যাচে হার একটা ধাক্কা। রায়ডু, রায়নার মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েক জন ক্রিকেটারের অভাব বোধ করছি। উইকেটের চরিত্র বুঝে বল করতে হবে বোলারদের। গত তিন দিনে অনেক শিক্ষা হয়েছে।’’ ফ্লেমিং আরও বলেন, ‘‘আইপিএলে গত এক যুগ ধরে স্পিন বোলিং আমাদের একটা শক্তি। এ পর্যন্ত আমরা তিনটি ভিন্ন মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলেছি। তিন জায়গাতেই পরিবেশ আলাদা। গত দু’ম্যাচেই মাঝের দিকে স্পিনারেরা খেলার পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করতে ব্যর্থ। কাজেই শক্তিশালী সেই স্পিন বোলিংকেও ছন্দে ফেরাতে হবে।’’
অন্য দিকে, ম্যাচ জিতে দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার গলায় উচ্ছ্বাস। বলেছেন, ‘‘দলের পারফরম্যন্সে খুশি। তবে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ক্যাচ ফেলেছি আমরা। সেই জায়গায় আরও সতর্ক হতে হবে। টিম মিটিংয়েই ঠিক হয়েছিল, ব্যাটিংয়ের জন্য পিচের পরিস্থিতি বুঝে এগোব আমরা। যে ভাবে আমাদের ওপেনারেরা শুরু করেছিল, তা গোটা দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। শেষটাও দুর্দান্ত হয়েছে।’’