ফাইনালে ম্যাচ-জেতানো ইনিংসে ৭৯ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ধোনি।
সাত বছরেরও বেশি কেটে গিয়েছে। কিন্তু, আরব সাগরের পারে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের জয়ের স্মৃতি ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে এখনও টাটকা। আর ওয়াংখেড়ের ফাইনালের স্মৃতি মানে অবধারিত ভাবেই আসবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ছক্কা মেরে চ্যাম্পিয়ন করানোর মুহূর্ত।
ম্যাচ জেতানো সেই ইনিংসে ৭৯ বলে ৯১ করেছিলেন ভারত অধিনায়ক। হয়েছিলেন ম্যাচের সেরাও। রান তাড়া করার সময় যুবরাজ সিংয়ের আগে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে গিয়েছিলেন তিনি। এই সিদ্ধান্তই পাল্টে দেয় ম্যাচের গতিপথ। যা চাঞ্চল্য তৈরি করে ক্রিকেটমহলে।
২৭৫ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে ভারত যখন ২১.৪ ওভারে তিন উইকেটে ১১৪, ক্রিজে গিয়েছিলেন ধোনি। চতুর্থ উইকেটে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ১০৯ রান যোগ করেন তিনি। ৯৭ করে ফেরেন গম্ভীর। বাকি কাজটা সারেন ধোনি-যুবরাজ জুটি। দশ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে জেতে ভারত। ঘরের মাঠে হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
আরও পড়ুন: মিতালি বাদ দলের স্বার্থেই! হারের পরও বলছেন হরনমনপ্রীত
আরও পড়ুন: ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি কী এবং কী ভাবে এর হিসাব হয় জানেন?
কিন্তু কেন ফর্মে থাকা যুবরাজের জায়গায় পাঁচে নেমেছিলেন ধোনি? স্বয়ং তাঁর কথায়, “শ্রীলঙ্কার অধিকাংশ বোলারকেই আমি ভাল করে জানতাম। কারণ, ওরা এর আগে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলত। সেই সময় মুথাইয়া মুরলীথরন বল করছিল। সেই কারণেই ক্রিজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সিএসকে নেটে অনেকবার খেলেছিলাম ওকে। আত্মবিশ্বাস ছিল যে মুরলীর বিরুদ্ধে সহজে রান করতে পারব। এই কারণেই ফাইনালে এগিয়ে নেমেছিলাম।”
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)