‘হৃদয় জুড়ে শুধু ইস্টবেঙ্গল’

প্রবীণ আইনজীবী শেখর দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘যখন কলকাতায় কলেজে পড়তাম, ইস্টবেঙ্গলের কোনও ম্যাচ বাদ দিতাম না। অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা, আবেগের কাছে ওসবের কোনও মূল্যই ছিল না।’’

Advertisement

নীহার বিশ্বাস

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০৪:০৪
Share:

ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাব তৈরি শতবর্ষ উদ্‌যাপনে। নিজস্ব চিত্র

বালুরঘাটের বুক চিড়ে চলে গিয়েছে আত্রেয়ী খাঁড়ি। সেই ষাটের দশকেই দেখা যেত, খাড়ির পুব দিকের বাসিন্দারা ইস্টবেঙ্গল সমর্থক, পশ্চিম দিকটির বাসিন্দারা মোহনবাগানের হয়ে গলা ফাটাতেন। যদিও পরে পশ্চিম দিকের কালীবাড়ি, চকভবানি এলাকার নতুন প্রজন্মের অনেকে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক হয়ে পড়েন। শহরের প্রবীণ ফুটবলপ্রেমীদের কথায়, বাংলাদেশ লাগোয়া এই শহরে পূর্ববঙ্গ থেকে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন, তাঁরা ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক ছিলেন।

Advertisement

পাঁচ ও ছয়ের দশকে বালুরঘাটে নিয়মিত ফুটবল প্রতিযোগিতা হত। সেই সময়ে জেলা পর্যায়ে এই শহরের বাসিন্দা অরূপ নাথ (অপুদা), প্রভাত নাথ (রাজাদা), পাকু চট্টোপাধ্যায়, আন্ড্রিয়াস ভাঙরারা মাঠ জমিয়ে রাখতেন। শহরের বাসিন্দাদের দাবি, তাঁদের অনেকেরই জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা ছিল। কিন্তু সুযোগ পাননি। তবে ১৯৬২ সালে চন্দননগরের দলকে হারিয়ে এই জেলা ৭-০ গোলে জয়ী হলে, বালুরঘাটে উৎসব শুরু হয়ে যায়।

প্রবীণ আইনজীবী শেখর দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘যখন কলকাতায় কলেজে পড়তাম, ইস্টবেঙ্গলের কোনও ম্যাচ বাদ দিতাম না। অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা, আবেগের কাছে ওসবের কোনও মূল্যই ছিল না।’’ বালুরঘাটের এমনই ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের নিয়েই সম্প্রতি তৈরি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফ্যানক্লাব। শহরের ইস্টবেঙ্গল প্রেমী সুরজ ভৌমিক, গৌতম দাশগুপ্ত, সুতপা দাশগুপ্তরা মিলে ফেব্রুয়ারিতে এই ফ্যানক্লাব তৈরি করেছেন। আগামী বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছেন তাঁরা। একশো প্রদীপ জ্বেলে শতবর্ষ উদ্‌যাপন হবে। বালক ও মহিলাদের ফুটবল প্রতিযোগিতা, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। তার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement