চিপকে লজ্জার নজির গড়লেন দু’ দেশের স্পিনাররা। —ফাইল চিত্র।
১৯৮ বল অর্থাৎ ৩৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে একটি উইকেটও নিতে পারেননি ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনাররা। দুই দেশের স্পিনাররা লজ্জার এক রেকর্ড গড়লেন চিপকে।
চিপকের ২২ গজ সাধারণত স্পিন-বান্ধব হয়ে থাকে। ঘরের মাঠে আইপিএল খেলার সময়ে স্পিনারদের উপরেই ভরসা করে চেন্নাই সুপার কিংস।
স্পিনাররাও সিএসকে-কে অনেক ম্যাচেই এনে দিয়েছেন জয়। কিন্তু, রবিবার ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দু’দলের স্পিনাররা মিলিত ভাবেও একটি উইকেট নিতে পারেননি।
রবীন্দ্র জাডেজা ও কুলদীপ যাদবের মতো দু’জন বিশেষজ্ঞ স্পিনারকে দলে নিয়েছিল ভারত। ছিলেন পার্ট টাইম স্পিনার ছিলেন কেদার যাদব। ক্যারিবিয়ান দলে ছিলেন লেগ স্পিনার হেডেন ওয়ালশ ও অফ স্পিনার রস্টন চেজ। পাঁচ স্পিনার ৩৩ ওভার বল করে লজ্জার এক রেকর্ড তৈরি করলেন। ভারতের মাটিতে এই ম্যাচেই টানা সব চেয়ে বেশি বল করে উইকেট পেলেন না স্পিনাররা। এমন নজির আগে ছিল না ভারতে। বিশ্ব ক্রিকেটে চারটি ম্যাচের উদাহরণ রয়েছে যেখানে ৩৩ ওভারের বেশি বল করে স্পিনাররা নিতে পারেননি একটি উইকেটও।
২০১১ সালে হারারেতে জিম্বাবোয়ে-পাকিস্তান ওয়ানডে ম্যাচে ২২২টি বল করেও দু’দেশের স্পিনাররা একটি উইকেটও দখল করতে পারেননি। ১৯৯৬-’৯৭ মরসুমে গাব্বায় অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ২১৬টি বল করেও স্পিনাররা সাফল্য পাননি। ২০১১-’১২ মরসুমে ইস্ট লন্ডনে দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ২০২টি বল করেও দুই দেশের স্পিনারের মোট উইকেট থেকে গিয়েছিল শূন্য। ২০০১-’০২ মরসুমে ঢাকার স্পিন-বান্ধব পিচে ২২২টি বল করেও জিম্বাবোয়ে ও পাকিস্তানের স্পিনাররা উইকেট নিতে পারেননি।
ভারতীয় স্পিনাররা চিপকে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে ভারতেরই। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়ল ভারত।